স্টাফ রিপোর্টার, নিউজ ৩৯ ♦ নবাবগঞ্জ উপজেলার দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে জোড় করে অপহরণ করে নিল বখাটেরা। রবিবার সকালে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ৩/৪জন উশৃঙ্খল যুবক চুড়াইন আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী রুনা (ছদ্মনাম) (১৫) কে জোর করে দিনদুপুরে সিএনজিতে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় গ্রামবাসী সুত্রে জানা যায়, একই এলাকার মিশু গাজী (২৫) নামে এক যুবক রুনার (১৫) সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়তে দীর্ঘদিন চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। মোবাইলে ও স্কুলে যাওয়ার পথে তাকে উত্যাক্ত করত। রুনার বিয়ে ঠিক হয়েছে জানতে পেরে রবিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে মিশুসহ ৩/৪জন যুবক ফিল্মি স্টাইলে দিন দুপুরে সকলের সামনে সিনজিতে তুলে নিয়ে যায়।
মেয়েটির আর্তচিৎকারে স্থানীয় জনতা মোটরসাইকেলে করে ধাওয়া করে শ্রীনগর থানার আলমপুর বাজার পৌঁছলে বাজারে অবস্থানরত জনতা রুনার চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে মিশু ও তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। জনতা রুনাকে উদ্ধার করে তার অভিভাবকের নিকট পৌঁছে দেয়।
গ্রামবাসীর জানায়, বিদ্যালয়ের মেয়েরা মিশুর টিজিংয়ের শিকার হয়ে আসছে অনেকদিন ধরে। আগেও ইভটিজিং এর অভিযোগে তাকে গ্রাম্য শালিশে জুতা পেটা করা হয়।
বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই বিদ্যালয়ের ৪৮২ জন ছাত্রী গতকাল ভয়ে আতঙ্কে স্কুলে ক্লাস না করে বাড়ী ফিরে গেছে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিসহ অভিভাবকরা রয়েছেন উদ্বেগ উৎকন্ঠায়। দোহার-নবাবগঞ্জে ইভটিজিং এর মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় অভিভাবকেরা মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে স্বস্তিতে নেই। অভিভাবকগণ স্কুল চলাকালে বখাটেদের নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে প্রেমিক মিশু বলে, “আমি তাকে ভালবাসি, তাকে যে কোন শর্তে বিয়ে করতে রাজি আছি।”
আগলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবেদ হোসেন বলেন, “বিষয়টি আমি জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়নের নিয়ে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এলাকায় তারা চিহ্নিত বখাটে বলে পরিচিত। এরকম ঘটনার বিচার হওয়া উচিৎ।”
নবাবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) বলেন, “থানায় এসে মৌখিক ভাবে অবগত করেছে। মামলা দায়ের করেনি।”