কর্মসংস্থান আর অর্থ আয়ের জন্য অনেকের কাছে স্বপ্নের দেশ সৌদি আরব। যে কারণে কেউ হজ, উমরাহ বা ঘুরতে গিয়ে অবৈধভাবে বসবাস শুরু করেন। এরা ধরা পড়লেই জেল-জরিমানা। সম্প্রতি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ এসব অবৈধ অভিবাসীদের সুযোগ দিলো সৌদি সরকার। ৯০ দিনের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। জেল-জরিমানা ছাড়াই দেশে ফিরতে পারবেন তারা। এজন্য দূতাবাস ও কনস্যুলেট থেকে আউটপাস সংগ্রহ করতে হতে।
এ ঘোষণার আওতায় বৈধ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে অবৈধ অভিবাসীরা এনিয়ে সৌদির সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বৈধতা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ঘোষণা অনুযায়ী, দেশে ফিরতে চাইলে আবারও সৌদি আরবে আসার আবেদন করতে পারবেন এসব অভিবাসীরা। আর এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রবাসীরা। অবৈধ অভিবাসীদের খুঁজে বের করতে এরইমধ্যে ট্রাস্কফোর্স গঠন করেছে সৌদি সরকার। শিগগিরই মাঠে নামবে তারা। স্থাপন করা হয়েছে বেশ কিছু ডিটেনশন সেন্টারও।
ঘোষণা অনুযায়ী, আবাসন খাতে ও শ্রম আইন লঙ্ঘনকারীদের জন্য ৯০ দিনের সময় দেওয়া হয়। বলা হয়, এ সময়সীমার মধ্যে আইন লঙ্ঘনকারীরা জরিমানা ছাড়া সৌদি আরব ছেড়ে যেতে পারবেন।
যারা অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশ করে কাজ করছেন বা যাদের কাগজপত্র নেই- তাদেরকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ এই সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে তিনি এই ক্যাম্পেইনে সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেছেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস পাসপোর্ট বিভাগ এবং শ্রম ও উন্নয়ন কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাথমিকভাবে ভালোই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তারা আশা করছেন সকল অবৈধ বাংলাদশি এ সুযোগ নেবেন। অভিযান চালুর পর থেকে ১০হাজারের মত বাংলাদেশি ও প্রথম সপ্তাহে জেদ্দা ও মদিনায় ৬ হাজারের মতো পাকিস্তানি, এছাড়া ভারতের প্রায় ১৪ হাজার প্রবাসী সৌদি ছাড়ার জন্য ছাড়পত্র নিয়েছে ।
সাধারণ ক্ষমার এ প্রচারণা চালাতে কাজ করছে সরকারের ১৯টি সংস্থা। এছাডা সৌদি আরবে বেশকিছু ডিটেনশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, রিয়াদে ১৩টি, পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে ৬টি, মক্কায় ৪টি, আল কাছিমে ৩টি, মদীনায় ৩টি, আসিরে ৩টি, তাবুকে ৩টি, আল বাহা ২টি, আল জৌফে ২টি, উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে ২টি, জিজানে একটি, নাজরানে ১টি এবং হাইলে ১টি।