ঢাকা দোহারের প্রায় দশ হাজার যুবক সৌদি আরবে বেকার হয়ে আছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। অনেক যুবকই বাবা-মা ও স্বজনদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানায় ভুক্তভোগিরা।
জানা যায়, সংসারের দুঃখ ও ভাগ্যের চাকা বদল করার আশা নিয়ে বসতভিটা, আবাদি জমির দলিল এনজি এবং ব্যাংকে জমা রেখে লোন নিয়ে অনেক আশায় মাতৃভূমি ত্যাগ করে দোহার উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার যুবক। এর মধ্যে ১৫ হাজার যুবক সৌদিআরবের বিভিন্ন স্থানে কর্মসংস্থানে কর্মরত থাকলেও ভাগ্য বদল হয়নি প্রায় দশ হাজার যুবকের।
সৌদি দাম্মামের আল- খোয়ার এলাকা থেকে দোহার উপজেলার হুইরা গ্রামের শেখ রশিদের ছেলে
আলম হোসেন জানান, এক বছর আগে বসতভিটা ব্যাংকে বন্ধক রেখে ফ্রি ভিসায় সৌদি আরব আসি আজ পর্যন্ত ইকামা হাতে পেলাম না এবং কপিল ( মালিক) কেমন চোখে দেখলাম না। বাড়ি থেকে বাবা-মা টাকা চাইছে ঋন সুদ করার জন্য, আমি নিজেই অনাহারে থাকি টাকা দিব কোথা থেকে তাই বাড়ির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছি।
দাম্মাম এলাকার জুয়েল জানান, সৌদি আরবের দাম্মাম, রিয়াদ, জেদ্দা, মক্কা, আল-বাহাসহ সব প্রদেশেই দোহারের দশ হাজার যুবক কাজ না থাকায় বেকার হয়ে আছে। কোন কোন যুবক সৌদি আরবে আসার পর থেকে ইকামা ও কপিল খুঁজে পাচ্ছে না।
জেদ্দা থেকে দোহার উপজেলার জালালপুর এলাকার মোবারক জানান, দীর্ঘদিন ধরে কোন কাজ না পেয়ে বেকার হয়ে আছি। কোন টাকা বাংলাদেশে পাঠাতে পারিনা তাই বাবা-মা মনে করছে টাকা শ্বশুড়বাড়িতে পাঠাচ্ছে আর বউ মনে করছে জোয়া খেলে, নেশা করে টাকা পয়সা নষ্ট করে ফেলছে। শুধু আমি নয় আমার মত বহু যুবক স্বজনদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
বাহ্রা এলাকার সমশের আলী জানান, দেড় বছর হয় বড় ছেলে রাসেলকে সৌদি পাঠাইছি অনেক আশা নিয়ে, আজ পর্যন্ত আমাকে দেড়টা টাকাও পাঠাতে পারে নাই। সব টাকা শ্বশুড়বাড়িতে পাঠায়। অর দেনা শোধ করার জন্য বাড়ির পাশের জমিটা বিক্রি করে দিয়েছি।