সামছুদ্দিন সিকদারে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান, ব্যাহত শিক্ষা কার্যক্রম

260

ঢাকার দোহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ মুকসুদপুর সামছুদ্দিন সিকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের অভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রখর  রোধে খোলা আকাশের নিচে বসে ক্লাস করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এতে করে উক্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ১০৬০ জন শিক্ষার্থী ও ২৯জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে। স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালে মরহুম সামছুদ্দিন সিকদার তার নিজের ঘরের টিন দিয়ে একটি অফিস রুম ও ৫টি শ্রেণি কক্ষে দিয়ে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত করে। বর্তমানে ১৩টি শ্রেণীকক্ষ থাকলো শ্রেণি কক্ষের  অভাবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঠাসাঠাসি করে বসিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিনিয়ত শ্রেণি কক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে প্রখর রোধে বসে পাঠদান করছে। এখন কোন রকমভাবে ক্লাস চললেও বৃষ্টির সময় চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের। এতে করে প্রতিনিয়ত শিক্ষাকার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  মো.আহসান হাবিব জানান, স্কুলটি জাতীয় পর্যায়ে ২৮টি স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত হলে কিন্তু পর্যাপ্ত শ্রেণী কক্ষ না তাকায় খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ নিতে হচ্ছে। শ্রেণী কক্ষে প্রতিটি ব্যাঞ্চে ছাত্র ছাত্রী বসার কথা ৫ জন করে, সেখানে আমরা ছাত্র ছাত্রী বসাই ৭ জন করে তার পরেও ছাত্র ছাত্রীদের বাইরে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে। আমাদের স্কুলে একটি একতলা ভবন রয়েছে, আর টিনশেট কাচা ভবন রয়েছে কাচা ভবন তিনটি। অনেক কষ্ট করে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নিতে হচ্ছে। সামনের বর্ষা মৌসুমে ঝড়-বৃষ্টিতে কিভাবে ক্লাস নিবো চিন্তা করছি।

অন্য খবর  নবাবগঞ্জের যে রাস্তাকে সড়ক বলতেও লজ্জা লাগে

৮ম শ্রেণীর ছাত্রী সুমি আক্তার জানায়,অনেক কষ্ঠে মাঠে বসে ক্লাস করছি। একদিকে রোদ আর অন্যদিকে ছোট ছোট পোকা আমাদের শরিরে এসে বসে। কিন্তু দিনের বেলা প্রচন্ড রোদ থাকে। বেশি সময় রোদে বসে থাকলে মাথা ঘোরায় ক্লাস করা যায় না। অনেক কষ্ট শিকার করে আমরা মাঠের ভিতর প্রচন্ড রোদকে উপেক্ষা করে পড়ালেখা করছি আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নাই আমরা আর কত দিন বাইরে ক্লাস করবো।

৬ষ্ঠ শ্রেণীর রাসেল বলেন, স্বনামধন্য স্কুল বলে অনেক আশা নিয়ে এখানে ভর্তি হয়েছিলাম। এখন দেখছি ভুল করেছি। কারণ শিক্ষক, বেঞ্চ, কক্ষ সঙ্কটের পড়ালেখা নিয়ে দুশচিন্তায় আছি।

অষ্টম শ্রেণীর নাসির, রাহাত জানায়, শিক্ষকদের ভালোবাসার কারণে বিদ্যালয় ছেড়ে  যেতে পারছি না। এ অবস্থা চলমান থাকলে আগামীতে আর কেউ এখানে ভর্তি হবে না। শিক্ষার্থীরা জানান বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে নজর দেবেন বলে আমাদেও বিশ্বাস।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল করিম ভুঁইয়া ও শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন ফেরদৌস সুলতানা বলেন আমি বিষটি আমাদের জানা ছিল না।

আপনার মতামত দিন