মেগাসিটি রাজধানী ঢাকা শহরের চেয়ে সাভারের বায়ু বেশি দূষিত। ঢাকা শহরে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (বায়ুমান মানমাত্রা) ১১৫ হলেও সাভারে এর পরিমাণ ১৩৫। ঢাকার চেয়ে আরও বেশি বায়ু দূষণকারী শহর রংপুর। এ শহরে বায়ুমান মানমাত্রা ১২৮।
শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও গত শনিবার (১৫ জুন) পরিবেশ অধিদফতরের বায়ুমান মানমাত্রা মনিটরিং স্টেশন সূত্রে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, লেড, নাইট্রোজেন অক্সাইড ও প্রলম্বিত বস্তু কণার কারণে বায়ুদূষিত হয়।
পরিবেশ অধিদফতরে তথ্যানুযায়ী, বিভিন্ন শহরের মধ্যে বায়ুমান মানমাত্রা চট্টগ্রামে ৩৫, গাজীপুর ৮৩, নারায়ণগঞ্জ ৮৫, সিলেট ৩৯, বরিশাল ৩৯, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা ২৭। দূষক প্যারামিটার পিএম ২ দশমিক ৫ ধরে এ হিসাব করা হয়।
পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহাম্মদ জানান, নিয়মিত বায়ুমান মনিটরিংয়ের জন্য রাজধানীসহ সারাদেশে তাদের ১৬টি স্টেশন চালু রয়েছে। তার মধ্যে ঢাকায় ৪টি (ফার্মগেট, সংসদ ভবন, দারুস সালাম ও সাভার), চট্টগ্রামে ২টি; খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রংপুর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও নরসিংদীতে ১টি করে সার্বক্ষণিক বায়ু মনিটরিং স্টেশন রয়েছে।
স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ বিবেচনায় বায়ুমান মানমাত্রার পরিমাণ শূন্য থেকে ৫০ হলে ভালো, ৫১ থেকে ১০০ হলে মধ্যম, ১০১ থেকে ১৫০ হলে সাবধানতা/সতর্কীকরণ, ১৫১ থেকে ২০০ হলে অস্বাস্থ্যকর, ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুব অস্বাস্থ্যকর ও ৩০১ থেকে ৫০০ পর্যন্ত অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়।
বায়ুমানের হিসাবে রাজধানী ঢাকা, সাভার এবং রংপুর শহরে স্বাস্থ্যগত উদ্বেগের স্থান সাবধানতা/সতর্কীকরণ লেবেলে রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ মধ্যম। স্বাস্থ্য উদ্বেগ সবচেয়ে কম কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ। এ ছাড়া স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ কমের শহরের মধ্যে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, বায়ুদুষণের ফলে মানুষের শ্বাসযন্ত্র, হৃদরোগ, ক্যানসার ও ডায়াবেটিস বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি হয়। এ ছাড়া বাযুদূষণ মাতৃগর্ভে ভ্রূণের ক্ষতিসাধনসহ শিশুর বুদ্ধিমত্তা বিকাশ ব্যাহত করে।