ঢাকার দোহার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনে বিপুল পরিমাণ সরকারি চাল জব্দ ও গোডাউন সিলগালা করেছে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা। রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউন সীলগালা করে চালগুলো জব্দ করা হয়। সোমবার সকালে গোডাউনের সীলগালা খোলা দেখে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদে জব্দ ও সীলগালাকৃত চাল হতদরিদ্রদের বিতরনের জন্য মজুদ করা হলেও তাদের ঈদের আগে চাল বিতরণ না করে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে গোডাউনজাত করেন বিলাশপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা।
হতদরিদ্রদের চাল বিতরনে চরম অনিয়মের অভিযোগ এনে ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ আবুল হোসেন বলেন, বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডি’র চাল বিতরণের জন্য জুন মাসে ১৮০৬ জনের ৬ টন পাঁচশত দশ কেজি চাল অনুমোদন দেয় উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর। কিন্তু পরিষদের নির্বাচিত ১২ জন সদস্যদের মতামতকে না নিয়ে একতরফাভাবে মাষ্টাররোল তৈরী করে চাল বিতরণ না করে আত্মসাৎ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা।
৩নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ শেখ আয়নাল জানান, রোববার রাতে হঠাৎ গোডাউনে বিপুল পরিমান চাল দেখতে পাই। পরে উপজেলা প্রশাসনকে জানালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা এসে সীলগালা করে রেখে যান। কিন্তু সকালে সেই সীলগালাকৃত গোডাউনের চাল উপজেলা প্রশাসন যাঁচাই না করার আগেই চেয়ারম্যানের লোকজন গোডাউন খুলে দিলে এলাকাবাসী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে বিক্ষোভ করেন ।
দোহার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম জানান, সরকারী চাল গরিব মানুষকে না দিয়ে আত্মসাৎ করার জন্য মজুদ করেছেন তিনি। আমরা তদন্তসাপেক্ষে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করে সুবিচার আশা করছি।
বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মোল্লা বলেন, এলাকায় বন্যার পানি থাকায় কার্ডধারীদের চাল বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। কিছুদিনের মধ্যে চাল বিতরণ করা হবে।