অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জয়পাড়া কলেজের রীট মামলার স্টাটাস কো বা স্থিতি অবস্থা খারিজ করে দিয়েছে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে দোহার উপজেলায় একমাত্র পদ্মা কলেজই সরকারিকরণ হচ্ছে।
১৯ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার ২০১৭ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের কার্য তালিকায় ১ নাম্বারে থাকা জয়পাড়া কলেজের স্টে অর্ডার সংক্রান্ত রীট আবেদনটি খারিজ করে দেয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্য বিশিষ্ট আপিল বেঞ্চ। তবে মামলাটি নিয়মিত বেঞ্চে চলবে।
উল্লেখ্য জয়পাড়া কলেজে তাদের রীট মামলায় দাবী করে, ২০০৮ তত্বাবধায়ক সরকারের শাসন আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দোহারস্থ জয়পাড়া বড় মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রতিশ্রুতি দেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জয়পাড়া কলেজকে সরকারি করা হবে। বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে এনে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চেয়ে ৬ মার্চ, ২০১৭ তারিখে রীট করেন দোহার উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও জয়পাড়া কলেজের সাবেক ভিপি আলমাসউদ্দিন, দোহার উপজেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান আকন্দ এবং দোহার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রাজীব শরিফ।
জয়পাড়া কলেজের পক্ষে মামলাটিতে অংশ নেন সাবেক এটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ এবং পদ্মা কলেজের পক্ষে মামলাটিতে অংশ নেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি বর্তমান এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম।
উল্লেখ্য বিভিন্ন যাচাই-বাছাই ও তদন্ত শেষে পদ্মা কলেজ জাতীয়করনের জন্য, মাননীয় প্রধানমত্রী ঘোষিত একটি স্কুল ও একটি কলেজ সরকারি করনের জন্য, মনোনীত হয়। ইতিমধ্যে কলেজটির সকল প্রকার ইন্সপেকশন সম্পন্ন হয় এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ সংক্রান্ত ডিড অব গিফট সম্পন্ন হয়েছে।
বর্তমানে জাতীয় পর্যায়ে ২৮৬ টি কলেজের সাথে পদ্মা কলেজও রাষ্ট্রিয় প্রজ্ঞাপন জারির অপেক্ষায় রয়েছে। রায়কে স্বাগত জানিয়ে পদ্মা কলেজ কতৃপক্ষ মহান সৃষ্টি কর্তাকে শুকরিয়া জ্ঞাপনসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল এ আর খান ও মহাপরিদর্শক নিবন্ধন বিভাগ ড. খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানসহ দোহারবাসীকে ধন্যবাদ জানান।