বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না হলে পদ্মা সেতু দুঃস্বপ্নে পরিনত হতো। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবলের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। আজ পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিন অঞ্চলের মানুষের কাছে স্বপ্নে পরিনত হয়েছে। মধ্য আয়ের বাংলাদেশের স্বপ্নে পদ্মা সেতু একটি গুরুত্বপূর্ন মাইল ফলক হিসাবে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। শনিবার বিকেলে ঢাকার নবাবগঞ্জে তাশুল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে রাজনীতিতে একটা দ্বন্দ্ব আছে। যেটি জটিল এবং কঠিন। হয় আমরা একে অপরকে নিমূর্ল করবো। না হয় একটা সম্মিলিত কার্যকর পন্থায় উপস্থিত হবো। অবশ্যই রাজনীতিতে ভিন্ন মত থাকবে ভিন্ন পথ থাকবে। কিন্তু উন্নয়নের ব্যাপারে এক হতে হবে। সে যে দলই করেনই না কেন।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মঞ্জু বলেন, ‘বাংলাদেশ সৃষ্টির পর কোনো সরকারের হাতে এতো অর্থ ছিল না। আমাদের দেশে রাজনীতির একটা বৈশিষ্ট থাকে যিনি ক্ষমতায় থাকেন তিনি অপরাধী। তিনি কিছুই করেননি। কিন্তু যারা স্বাধীনতার পর থেকে ১৫ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল না তারা নাকি সব করেছেন! নবাবগঞ্জের তাশুল্লা এলাকার (অনুষ্ঠানস্থল) বর্ণনা করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ এলাকায়ও একজন যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন। তিনি কি করেছেন? এ সরকারের কারণে বাংলাদেশের কোথাও দেখিনি, যেখানে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেটে চলতে হয়। তাহলে যিনি ছিলেন তিনি কি কাজগুলো করেছিলে?’
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বিদ্যালয়ের একটি পাকাভবন নির্মানের প্রতিশ্রুতি দেন। একই সাথে নবাবগঞ্জ-দোহারের কাঁশয়াখালী বেড়িবাঁধে স্লুইজ গেইট নির্মান ও আরিয়ল বিলের ১৫টি খাল খননের ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারী উন্নয়ন খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের চেহারা বদলে দিয়েছেন। তাই আমরা আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। নির্বাচন সন্নিকটে নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে জননেত্রীর উন্নয়ন তুলে ধরতে হবে। তাদের বুঝাতে হবে উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য।’
তিনি আরো বলেন, সাধারন মানুষের কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের বার্তা পৌছাতে হবে। সাধারন মানুষকে নিয়েই উন্নয়নের মহাসড়কে হাটবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর সেই উন্নয়নের মহাসড়কে দোহার-নবাবগঞ্জ হবে বাংলাদেশের জন্য একটি মাইল ফলক।
বিশেষ অতিথি ও ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকলকে ঐক্য মত হতে হবে। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সাংসদ খন্দকার হারুন-অর-রশিদ, আওয়ামীলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া, ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার বসাক।
তাশুল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পলাশ চৌধুরির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আজিজুর রহমান ফকু, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আলম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক অসীম সরকার, দোহার সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মাহবুবুর রহমান, নবাবগঞ্জ থানার ওসি মোস্তফা কামাল প্রমূখ।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলমের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশ বরেণ্য শিল্পী সালমা, ব্যান্ডদল রকস্টার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।