মোঃ কাইয়ুম খান ♦ নাবাবগঞ্জ থানার শিকারীপাড়া ও বারুয়াখালী ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচারণা দারুণ ভাবে জমে উঠেছে। বারুয়াখালী ইউনিয়নে মোট তিনজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এরা হলেন গতবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রজ্জব মোল্লা, নবাবগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচনে নতুন মুখ মামুন খান ও গতবারের নির্বাচনে অংশ নেওয়া রওশন আলী।
রওশন আলীর প্রচারণা ইউনিয়নবাসীকে খুব একটা জাগিয়ে তুলতে পারে নি, এলাবাসীর প্রচারণায় বুঝা যায় প্রতিদন্দ্বীতা শুরু হয়েছে রজ্জব মোল্লা এবং মামুন খানের মধ্যে। রজ্জব মোল্লা গতবারের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে দেয়াল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন তার প্রচারণা। অন্যদিকে মামুন খান বিনয়ী ব্যবহার, সুদর্শন চেহারা ও ছাত্র রাজনীতির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে তার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
অনেকের ধারণা মামুন খান নতুন এসে যে আলোড়ন তৈরী করেছেন তাতে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অনেক, তিনি ইউনিয়নের তরুণ জনগোষ্ঠীকে জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। এদিকে রজ্জব মোল্লার জনপ্রিয়তাও কম নয়, তিনি অত্যন্ত সুন্দর ভাবে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই তিনজনের মধ্যে কে জয়ের মালা ছিনিয়ে নিতে পারবে দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১৬মে পর্যন্ত।
পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন শিকারীপাড়াতেও চলছে ৪ প্রাথীর ব্যাপক প্রচারণা। এখানে দুই জন নবীন ও দুই জন প্রবীণ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদন্দ্বীতা করছেন। নবীনদের মধ্যে একজন হলেন সমাজসেবক গফুর মোল্লা, আরেক জন অত্র ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম। আর প্রবীণরা হলেন পরপর ২ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলীমোর রহমান খান পিয়ারা ও তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জব্বার মোল্লা। নবীনদের মধ্যে আব্দুস সালাম গরুর গাড়ী ও গফুর মোল্লা আনারস প্রতীক এবং প্রবীনদের মধ্যে আলীমোর রহমান খান পিয়ারা কাপ পিরিচ ও জব্বার মোল্লা তালা প্রতীক নিয়ে তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকা বাসীর সাথে কথা বলে বুঝা গেল যে তারা প্রবীন দুজনকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন বেশি, নবীনদের কে এবার তারা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন না। প্রবীন দুজনের মধ্যে তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে উঠেছে। কারণ অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে কেউই যে পিছিয়ে নেই। এখন দেখার বিষয় জয়ের নিশান কার হাতে উড়ে। আর সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে আর মাত্র ২ সপ্তাহ।