শাহাবুদ্দিন বিশ্বাসের কলাম: ঢাকা জেলা দক্ষিন ছাত্রলীগ কমিটি গঠন এবং কিছু প্রাসঙ্গিক নজিরা

1065

দোহার, নবাবগঞ্জ এবং কেরানিগঞ্জ কে নিয়ে গঠিত হয়েছে ঢাকা জেলা দক্ষিন ছাত্রলীগ। রাজনীতির কেন্দ্র বিন্দু ঢাকা হলেও ঢাকা কে রাজনৈতিক ভাবে দুর্বল করে রাখার প্রয়াসে বহিরাগতরা ঢাকা জেলাকে খন্ডবিখন্ড করে দিচ্ছে।যাতে করে এই ‌অঞ্চলে শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতৃত্বের উত্থান না হতে পারে।প্রথমেই আমি এই চক্রান্তের বিরধীতা করছি।

এখন আসি প্রাসঙ্গিক আলোচনায়—তিনটি থানা নিয়ে গঠিত হলো ঢাকা জেলা দক্ষিন ছাত্রলীগ।রাজনৈতিক ভাবে তাদের রাজনৈতিক সিমাবদ্ধতা এবং ক্ষমতা প্রয়োগের স্থান অতি ছোট।এমতাস্থায় যেই দিন ঢাকা জেলা দক্ষিনের কমিটি ঘোষনা করা হয় সেই দিনই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কে ব্যবহার করে কিছু রাজনৈতিক নেতৃত্ব নবাবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিও গঠন করে নেন এবং কথিত আছে সেই চক্রটি চেষ্টা করেছিলো দোহার উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের কিন্তু কেনো এমন তৎপরতা?

সাবেক ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন ইকরামুল নবী ইমু।যে ঢাকা জেলা আওয়ামিলীগের বর্তমান সাংগাঠনিক সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুনের একান্ত বিশ্বস্ত লোক।পনিরুজ্জামাল তরুন তার রাজনৈতিক ভিতকে শক্তিশালী করনে ইমুর মাধ্যমে দোহার ও নবাবগঞ্জের ছাত্রলীগকে চরম ভাবেই কুক্ষিগত করে রাখেন।তৎকালিন ঢাকা জেলা সভাপতি ইমুর ব্যবহার,ব্যক্তিক কোয়ালিটি সর্বমহলেই প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো।তার নেতৃত্বে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগ হারিয়েছে তার ঐতিহাসিক রাজনৈতিক জৌলস।লিখিত/অলিখিত নেতার অভাব ছিলো না ঢাকা জেলাতে।বর্তমান ঢাকা জেলা দক্ষিন কমিটি ঘোষনা যেদিন হয় সেইদিন নবাবগঞ্জ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা করিয়ে নেওয়ার অপতৎপরতা অনেক বেশি অস্বাভাবিক রাজনৈতিক কৌশল এবং সেটা তরুন ভাইএর ছাত্রলীগের বলয়কে সুসংহত করনের জন্যই করা হয়েছে কারন তার ভীতি  ছিলো ঢাকা জেলা ছাত্রলীগ দক্ষিনের বর্তমান সভাপতি গিয়াসউদ্দিন সোহাগ। সোহাগ প্রভাবশালী ব্যবসায়ী জনাব সালমান এফ রহমানের একান্ত ব্যক্তিগত।যেহেতু সালমান এফ রহমান আগামি সংসদ নির্বাচনে দোহার-নবাবগঞ্জ হতে নমিনেশন প্রার্থী সেহেতু নবাবগঞ্জ ছাত্রলীগ কমিটিতেও তিনি তার স্বার্থ দেখতে পারেন ।এতে করে পনিরুজ্জামান তরুন তার রাজনীতির তুরুপের তাস ছাত্রলীগকে হারাতে পারেন কারন এই ছাত্রলীগই তার রাজনিতির মূল শক্তি ছিলো।

অন্য খবর  নিখোঁজ হাফসার সন্ধান চায় তার পরিবার

আমরা স্বাভাবিক ভাবে জানি থানা ছাত্রলীগকে অনুমোদন দেয় জেলা ছাত্রলীগ।সেই জেলা ছাত্রলীগ থাকাকালীন সময়ে কিভাবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সবার অজান্তে অন্ধকার ঘড়ে এমন একটি কমিটি করে দিতে পারেন?এমনিতেই বর্তমান জেলা কমেটির পরিধী ছোট ।যেখানে তাদের রাজনিতি করার স্কোপও কম সেখানে যদি থানা কমিটিতে এমন প্রেতাত্মাদের হাত পরে তাহলে কি প্রয়োজনে জেলা কমিটি করা হলো?এমনই যদি আপনাদের মনের খায়েশ হয়ে থাকে তাহলে জেলা কমিটিকে রাজনৈতিক ময়দানে নয় জাদুঘড়ে পাঠিয়ে দিন।

সবারই মনে রাখা উচিত ছাত্রলীগ কারো হাতের মোয়া না যাচ্ছে তাই ব্যবহার করবেন।একটি কমিটি হতে হলে সেই অঞ্চলের আওয়ামী রাজনিতির সাথে যারা জড়িত তাদের সকলের ইচ্ছা/অনিচ্ছার প্রতিফলন থাকতে হবে।যারা এই কমিটি চক্রান্তের সাথে জরিত তারা দলীয় স্বার্থে নয় ব্যক্তি স্বার্থে রাজনিতি করেন।তাই সহমত প্রকাশ করছি কমিটির বিরদ্ধে অবস্থানরত ছাত্রলীগ নেতৃবিন্দের সাথে।

ঢাকা জেলা দক্ষিন কমিটির প্রভাব পরেছে দোহার উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটিতেও।দোহার উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি সম্ভবত হয়েছিলো ২০১৩/২০১৪ সালে।দীর্ঘ সময়েও তারা একটি পূর্নাঙ্গ কমিটি উপহার দিতে না পারলেও ঢাকা জেলা দক্ষিন কমিটি ঘোষনা হওয়ার আগ মূহুর্তে তারা পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনার তোর জোর শুরু করে।দোহার উপজেলা ছাত্রলীগের বিবাহিত সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদকের ‌অধিনে মাধ্যমিকের গন্ডি না পেরুনো,সন্তানের বাবা,বিদেশ ফেরত,বিএনপির ‌অস্তিত্বে বিশ্বাসীদের নিয়ে অকেজো একটি নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে।যা ‌অত্যন্ত দুঃখজনক। ছাত্রলীগের রাজনিতি নষ্টের এই পায়তারা অগ্রহনযোগ্য ।

অন্য খবর  ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়তে কাজ করুনঃ শীতবস্ত্র বিতরন কালে সালমা ইসলাম

সকল অপকর্মের তিব্র প্রতিবাদ করছি,নবাবগঞ্জ ছাত্রলীগ কমিটি নামক নাটক স্থগিত করার দাবি জানাই এবং দোহার উপজেলা ছাত্রলীগে শুদ্ধি অভিযান দেখার অপেক্ষায় থাকবো।

আপনার মতামত দিন