দোহার থেকে আট কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা “সান” ও “দি ম্যাক্সিম”

341

নিউজ৩৯ অনুসন্ধানী প্রতিবেদক ♦ ডেসটিনি, আল-আকসা, আইডিয়েল কো-অপারেটিভের পর এবার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে সান গ্রুপ ও দি ম্যাক্সিম গ্রুপ মাল্টিপারপাস নামে দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

নিউজ৩৯ বিষয়টি আগেভাগেই প্রসাশনের নজরে আনতে জোর তাগিদ দিয়েছিল। গত ২০ তারিখে বিষয়টি দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনকে জানালে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে একটি জরুরি বৈঠকে আছেন বলে জানান এবং পরে  ফোন দিবেন বললেও তিনি তা দেন নি।

তাদের নিকট দোহারের জনগণের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৮ কোটি টাকা। উল্লেখ্য  দোহার-নবাবগঞ্জ এলাকা থেকে আল-আক্সা, ইসলামিক কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি. এবং আইডিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি. গ্রাহকদের বিনিয়োগকৃত প্রায় ৫০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়।

বর্তমানে গ্রাহকর বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় কার্যালয়ে। আজও সকাল ১১টায় দু’টি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে তালা ঝুলতে দেখা যায়। তখন সেখানে গ্রাহকদের ভীড় দেখা গেছে। তাদের অনেককে হতাশায় ভোগছেন। সান গ্রুপে পল্লী সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডে বিনিয়োগকারী দোহার শাখার প্রশিকা কর্মকর্তা আবদুস সালাম জানান, গত ২ মাস আগে ৪ লাখ ৩০,০০০ টাকা জমা রাখেন।

অন্য খবর  চায়না দোয়াইর: মৎস সম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য নতুন হুমকি

জয়পাড়া ডিগ্রি কলেজের কেমিস্ট্রির প্রভাষক কেরামত আলী জানান, ৫ মাস আগে তিনিও ৫ লাখ টাকা জমা রাখেন। অপরদিকে, দি ম্যাক্সিম গ্রুপের ম্যাক্সিম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিমিটেডে বিনিয়োগকারী বানাঘাটা গ্রামের নুরুল হক জানান, ১ বছর আগে তিনি ৫ লাখ টাকা জমা রেখেছেন।

আবুল কাশেমের স্ত্রী নিলুফা আক্তার রেশমা জানান, ব্যাংকের চেয়ে বেশি লাভ পাওয়ার আশায় তিনি ৩ লাখ ৩৫,০০০ টাকা জমা রেখেছেন।

দোহার নবাবগঞ্জে বৈদেশিক রেমিট্যান্স বেশি হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠান ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠে।

এ ব্যাপারে সান গ্রুপ অফ কোম্পানিজ লিমিটেড দোহার শাখা ব্যবস্থাপক ইয়াকুব আলীর মোবাইলে এবং দি ম্যাক্সিম গ্রুপের দোহার শাখা ব্যবস্থাপক আবদুর রাজ্জাকের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি। আব্দুর রাজ্জাক বর্তমানে পলাতক আছেন বলে জানা গেছে।

দোহার থানার ওসি (তদন্ত) কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমীন বলেন, বিষয়টির ব্যাপরি অবহিত আছি এবং কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে যেন আমানতকারিদের যেন ক্ষতি না হয়। তিনি যারা অসাধু ব্যবসায়ির মিথ্যা প্রলোভনে পড়ে অধিক লাভের আশায় টাকা জমা করেন, তাদের আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।

আপনার মতামত দিন