নিউজ৩৯ঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ আসন থেকে সদ্য নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সালমান এফ রহমান। তিনি দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিনি ক্যাবিনেট নামে পরিচিত উপদ্বেষ্টা মন্ডলীর বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদ্বেষ্টা। দোহার -নবাবগঞ্জবাসী স্বপ্নে বুক বেধে ছিলো আবার তারা মন্ত্রী পাবেন। সালমান এফ রহমান সড়ক ও সেতু, পরিকল্পনা, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বা বাণিজ্য অথবা জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন বলে সচিবালয়ে ছিল জোর গুঞ্জন। তিনি কি মন্ত্রীত্ব পাননি না নেননি? উত্তর- নেননি।।
যতদূর জানা যায়, মন্ত্রী পরিষদ গঠনে তার ছিলো সক্রিয় ভূমিকা। সালমান রহমান, এইচ টি ইমাম, গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ রেহেনাই বাছাই ও গঠন করেছেন এই মন্ত্রী পরিষদ। অনেককে মন্ত্রী বানিয়েছেন সালমান এফ রহমান; তাহলে কেন তিনি মন্ত্রীত্ব নিলেন না? নিলেন না – একটি দফতরের পূর্ণ দায়িত্ব?
অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়, তিনি কোন নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকতে চাননি। এছাড়া নির্বাচনী হলফ নামায় তিনি উল্ল্যেখ করেছেন তিনি চাকুরী সম্মানি বাবদ বাৎসরিক ৪১,৯২,২০০টাকা গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যানের পদে আছেন। একজন মন্ত্রী হয়ে সরাসরি ব্যবসা পরিচালনার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখা সুস্পষ্টভাবে সংবিধানের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর পদকে আমাদের সংবিধান লাভজনক পদ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। সংবিধানের ১৪৭ অনুচ্ছেদের ৩ ধারায় এ বিষয়ে স্পষ্টত বলা আছে, ‘এই অনুচ্ছেদ প্রযোজ্য হয়, এরূপ কোনো পদে নিযুক্ত বা কর্মরত ব্যক্তি কোনো লাভজনক পদ কিংবা বেতনাদিযুক্ত পদ বা মর্যাদায় বহাল হইবেন না কিংবা মুনাফালাভের উদ্দেশ্যযুক্ত কোনো কোম্পানী, সমিতি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় বা পরিচালনায় কোনোরূপ অংশগ্রহণ করিবেন না।’
আর এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেই মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করেননি তিনি। সেক্ষেত্রে তাকে তার কোম্পানীর পদ ও মালিকানা ছাড়তে হতো। তবে আগামী সপ্তাহেই তিনি পূর্ণমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদ্বেষ্টার দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।