যুক্তরাজ্যের এবারের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিভিন্ন কাউন্সিল থেকে রেকর্ডসংখ্যক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫০ জনের বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছেন। তবে খোদ বাঙালিপাড়া টাওয়ার হ্যামলেটসে কাউন্সিলর পদে হেরে গেছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী। নগরজুড়ে লেবার পার্টির জোয়ারেও টিকতে পারেননি তারা।
নির্বাচিত দুই ব্রিটিশ বাংলাদেশি কাউন্সিলরবাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে ৪৫টি আসনে বিভিন্ন দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শতাধিক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী। বিজয়ী হয়েছেন ২৪ জন। এরমধ্যে লেবার পার্টি থেকেই নির্বাচিত হয়েছেন ২৩ জন।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন কাউন্সিল থেকে ৫০ জনের বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। সঠিক পরিসংখ্যান জানতে আরও সময় লাগবে। কারণ নতুন প্রজন্মের অনেক ব্রিটিশ বাংলাদেশি কাউন্সিলর হয়েছেন। তাদের অনেকেরই বাংলা মিডিয়ায় উপস্থিতি কম। যোগাযোগ কম কমিউনিটির বাঙালি পাড়ায়।
বারাবরের মত এবারও আলোচিত ছিল টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাচন। কারণ এই কাউন্সিলেরই বসবাস সর্বাধিক সংখ্যক বাংলাদেশির। এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশিদের প্রতিষ্ঠিত নতুন দুইটি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। তবে তাদের মাত্র একজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। বাকিরা সবাই পরাজিত হয়েছেন। আলোচিতদের মধ্যে যারা পরাজিত হয়েছেন কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো।
মেয়র প্রার্থী হওয়ার পাশাপাশি লেন্সবারী ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন একাধিকবারের কাউন্সিলর অহিদ আহমেদ। মেয়র প্রার্থী হিসাবে ১১ হাজারের বেশি ভোট পেলেও কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে চার শতাধিক ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি।
কনজারভেটিভ পার্টি’র মেয়র প্রার্থী ডাক্তার আনোয়ারা আলীও মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশাপাশি কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন স্পিটালফিল্ড অ্যান্ড বাংলাটাউন ওয়ার্ডে। মেয়র পদে ছয় হাজারের বেশি ভোট পেলেও কাউন্সিলর পদে তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র ২৭৬টি। একই ওয়ার্ডে অপর প্রার্থী ছিলেন কমিউনিটি নেতা ও এস্পায়ার দলের প্রার্থী প্রবীন সাংবাদিক কে. এম আবু তাহের চৌধুরী। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৭৭৬টি। তিনি পরাজিত হয়েছেন ৩৩৮ ভোটে। একই ওয়ার্ডে পরাজিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলার সুলুক আহমদ। তিনি ভোট পেয়েছেন ৭৮৫টি।
হোয়াইটচ্যাপেল ওয়ার্ডে পরাজিত হয়েছেন মেয়র প্রার্থী রাবিনা খানের স্বামী আমিনুর খান। মেয়র পদে হারলেও কাউন্সিলর পদে জয়ী হয়েছেন রাবিনা। লেবার পার্টি থেকে বহিষ্কৃত হয়ে পিপলস অ্যালায়েন্সে যোগ দিয়ে ব্রমলি-নর্থ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন আলোচিত প্রার্থী খালিস উদ্দিন আহমেদ।