দোহারের মৈনটঘাট-কার্তিকপুর সড়ক চলাচল অনুপযোগী

345

ঢাকার অদূরে দোহারের পদ্মা নদীতে মৈনটঘাট থেকে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন ঘাটে ফেরি চলাচলের সব ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় ঘাটটি। সোমবার রাতে একটি ছোট ফেরিও এসে মৈনটঘাটে ভিড়েছে। কিন্তু দোহার অংশে কার্তিকপুর থেকে মৈনটঘাট পর্যন্ত প্রায় ৩ কিমি. রাস্তায় সংস্কার কাজের কোনো উদ্যোগ নেই। রাস্তার এ অংশটি এখন গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এমনকি রাস্তায় কোনো ইট ও খোয়া নেই। শুধু ধুলাবালির স্তূপে ভরা।

সরেজমিনে মৈনটঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, একটি ফেরি ভিরে আছে মৈনটঘাটে। কিন্তু পদ্মা পার হয়ে যে রাস্তায় ঢাকার সঙ্গে বাস চলাচল করবে সে রাস্তাটিই পড়ে আছে বেহাল অবস্থায়। ধুলাবালির স্তূপ মারিয়েই চলতে হচ্ছে পথচারীদের। গাড়ি চলাচলের সময় ইঞ্জিনে ধুলো গিয়ে বিকল হয়ে যায়। আর সর্বক্ষণই ধুলার কারণে আশপাশের বাসিন্দাদের নাকাল অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। মৈনট এলাকার বাসিন্দা আ. মজিদ বলেন, হুনছি খুব তাড়াতাড়ি এখানে ফেরিঘাট হবে। কিন্তু রাস্তা ঠিক না অইলে গাড়ি কেমনে চলবে। সড়কটি মেরামত করা দরকার।

যমুনা বাস সার্ভিসের চালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, পেটের দায়ে এ রাস্তায় গাড়ি চালাই। ধুলাবালিতে গাড়ির যন্ত্রপাতির সঙ্গে যাত্রীরাও নাজেহাল হয়ে পড়ে।

অন্য খবর  কামরুল হুদা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী

বিআইডব্লিউটিএর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পদ্মার মৈনট-চরভদ্রাসন ফেরিঘাটে ফেরি চালু হবে খুব শিগগিরই । তবে তার আগে রাস্তাঘাট সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে।

দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল করিম ভূঁইয়া বলেন, ফেরি চালুর বিষয়টি শুনেছি। তবে কবে নাগাদ হবে তা জানি না। রাস্তার কাজের বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে তাগিদ দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ মুন্সীগঞ্জ অঞ্চলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী খায়রুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আপনার মতামত দিন