মেঘুলায় বছরের পর বছর জ্যাম: নেই যেন কোন সমাধান!

828
মেঘুলায় বছরের পর বছর জ্যাম: নেই যেন কোন সমাধান!

এক সময় দোহার থানা ছিল মেঘুলায়, এখনো দেখা যায় সেই জরাজীর্ণ স্থাপনা। আদি এই বাজার প্রায় শতাব্দী পুরানো। ভৌগলিকভাবে মালিকান্দা মেঘুলা হচ্ছে দোহার উপজেলার মধ্যাঞ্চল। অথচ কর্মচঞ্চল মেঘুলা বাজার রোডের নিত্যদিনের ভোগান্তির নাম “অসহ্য যানজট”। ব্যাপারটি এতোটাই নিত্তনৈমিত্তিক যে এই অসহ্য ব্যাপারটি হয়ে গেছে গাঁ সওয়া, তাই দেখার কেউ নেই, নেই কোন সমাধান। আছে শুধু দীর্ঘশ্বাস।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেঘুলা বাজারের দুপাশ হতে মূল সড়কের তিন ভাগের দুই ভাগ দখল করে রাখে অবৈধ ফুটপাতের দোকান আর অনিয়মতান্ত্রিক পার্কিং, বাকী একভাগ রাস্তা থাকে গাড়ী-ঘোড়া ও পথচারী চলাচলের জন্য।

মেঘুলায় বছরের পর বছর জ্যাম: নেই যেন কোন সমাধান!

এছাড়াও মেঘুলা বাজারের রাস্তার দুই পাশের দোকানপাঠ গুলু এতটাই কাছাকাছি যে রাস্তার দুই পাশ দিয়ে পায়ে হেটে চলাচল অথবা ফুটপাত নেমে কোন জাইগা নেই বললেই চলে। আর যানবাহন সমস্যাতো রয়েছেই।

আর যানবাহন প্রসঙ্গে, প্রথম সমস্যাই হলো অবৈধভাবে পার্কিং আর তার অব্যবস্থাপনা। ঠিক মেঘুলা বাজারের প্রবেশদ্বারে আর কর্মব্যাস্ত রাস্তায় অটো ও রিক্সার পার্কিং। এছাড়া একই পার্কিং রয়েছে শিমুলিয়া যাবার চৌরাস্তায়। অথচ এ সড়কই হল দোহার থেকে ঢাকা যাতায়াতের মূল সড়ক, যানজটের মূল কারন হল ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা বা ইজিবাইক,ছোটছোট বালি ভর্তি ট্রাক,ট্রলি মাহিন্দ্রা।

অন্য খবর  দোহারে বৃক্ষরোপণ, গাছের চারা বিতরণ ও বই বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন

মেঘুলায় বছরের পর বছর জ্যাম: নেই যেন কোন সমাধান!

এসব ড্রাইভারদের মধ্যে বেশির ভাগই অপ্রশিক্ষিত আর তারা তাদের নিজ নিজ ইচ্ছেমতই গাড়ী চালায় এবং হটাৎ হটাৎ ব্রেক করে যত্র তত্র যাত্রী উঠা নামানোর কাজ করে থাকে। ভারসাম্যহীন ইজিবাইকের ড্রাইভারগন অথবা এক গাড়ি থেকে অন্য গাড়িতে যাত্রী স্থানান্তর। আর এরইসাথে যোগ হয় নগর-আরামের টম এন্ড জেরীর লড়াই (পরবর্তী পর্বে নগর আরাম নিয়ে লিখা হবে)। এ অবস্থায় যাত্রীগন ড্রাইভারদের কথা মতই তাদের সাথে এ ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে চলাচল করতে বাধ্য, কেননা তারা যতটানা সচেতন তার থেকে বেশি আধুনিক,আর এই আধুনিকতাকে কেন্দ্র করেই তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে।

মেঘুলায় বছরের পর বছর জ্যাম: নেই যেন কোন সমাধান!

আপনার মতামত দিন