মারামারি ও হাতাহাতিতে পণ্ড ঢাকা জেলা বিএনপির সম্মেলন

    787

    নিউজ৩৯, রাজনৈতিক প্রতিবেদকঃ ঢাকা জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভায় নেতা-কর্মীদের দুই গ্রুপে হাতা-হাতি ও মারা-মারি কারণে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে প্রধান অতিথির বক্তব্য না দিয়ে হল ছাড়তে হল। রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের আইইবি মিলনায়তনে রোববার বিকেলে ঢাকা জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভা-২০১৭ এর অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।

    রোববার বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এ ঘটনা ঘটে।

    প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, সভা বিকেলে শুরু হয়ে ভালোভাবেই চলছিল। শেষ দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখার প্রাক্কালে একদল যুবক অনুষ্ঠানে আকস্মিকভাবে পানির বোতল ছুঁড়ে মারে। একপর্যায়ে তুমুল হট্টগোল বেধে যায়। প্রতিনিধি সভায় নেতাকর্মীদের দুই গ্রুপে হাতাহাতি ও মারামারি কারণে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বক্তব্য না দিয়েই হল ছেড়ে যান।

    দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেনের বক্তব্য দেওয়ার পর অনুষ্ঠান সঞ্চালক ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক এর দেওয়া বক্তব্যের জের ধরে প্রথমে হাতাহাতি পরে মারা-মারির ঘটনা ঘটে।

    সভায় হাতাহাতি প্রসঙ্গে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক নিউজ৩৯কে বলেন, আমান উল্লাহ আমান ছাত্রলীগ-যুবলীগের ভাড়াটে লোক দিয়ে পরিকল্পিতভাবে প্রতিনিধি সম্মেলনে হামলা চালিয়েছে।

    অন্য খবর  ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও দোহারের আফরোজ আক্তার রিবা

    তিনি নিউজ৩৯কে আরও বলেন, দীর্ঘদিন পর ঢাকা জেলা বিএনপির নতুন কমিটি হওয়ার পর আমরা নবোদ্যমে কাজ শুরু করি। কিন্তু আমান উল্লাহ আমানের তা সহ্য হচ্ছে না। এ কারণেই তিনি এই মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছেন।

    দুই দফায় হাতাহাতি ও মারামারির পর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বের হয়ে যান। এরপর খন্দকার মাহবুব হোসেন বের হয়ে যান। শেষে আমান উল্লাহ আমান বের হতে গেলে বাধার সম্মুখীন হন। পরে মিলনায়তনের ভিতরে ফিরে এসে খানিক অপেক্ষা করে লোকজন নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। তিনি যখন মিলনায়তনের ভিতরে অবস্থান করছিলেন তখন বাইরে নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যেই হামলা ও পালটা হামলায় লিপ্ত হয়।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, মারামারি হয় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমান উল্লাহ আমানের সমর্থকদের মধ্যে। তারা দুজনই কেরানীগঞ্জের নেতা।

    এ সময় দেখা যায় মঞ্চের সামনে বসে থাকা নেতা-কর্মীরা পানির বোতল ছুড়ে মাড়ছেন মঞ্চের দিকে। এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    অন্য খবর  সাদ্দাম-সুরুজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ মুকসুদপুর

    এছাড়া মিলনায়তনের মধ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমান উল্লাহ আমানের সমর্থকরাসহ ঢাকা জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা প্রচুর নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    দুই দফায় হাতাহাতি ও মারামারির পর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বের হয়ে যান। এরপর খন্দকার মাহবুব হোসেন বের হয়ে যান। শেশে আমান উল্লাহ আমান বের হতে গেলে বাধার সম্মুখীন হন। পরে মিলনায়তনের ভিতরে ফিরে এসে খানিক সময় অপেক্ষা করে পরে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। তিনি যখন মিলনায়তনের ভিতরে অবস্থান করছিলেন তখন বাইরে নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যেই হামলা ও পালটা হামলায় লিপ্ত হয়।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, মারামারি হয় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমান উল্লাহ আমানের সমর্থকদের মধ্যে। তারা দুই জনই কেরানীগঞ্জের নেতা।

    অনুষ্ঠান চলাকালে মিলনায়নের ভিতর দেখা যায়, নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ছিল না। প্রচুর নেতা-কর্মী মিলনায়তনের ভিতর প্রবেশ করেছে। এসময় তারা মঞ্চের চার দিকে দিয়ে দাঁড়ানোয় মিলনায়তনের ভিতর ঢুকেও মঞ্চে বসা কাউকেই দেখা যাচ্ছিল না। এমনকি সাংবাদিকদের জন্য বসার নির্ধারিত জায়গাও বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা দখল করেন। ফলে উপস্থিত সাংবাদিকদের পিছিনে গিয়ে বসতে হয় এবং পেশাগত কাজ করতে বেশ বেগ পেতে হয়।

    আপনার মতামত দিন