মোহাম্মদ তাইমিয়া৩৯: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের ভোট যুদ্ধে মাঠে নেমেছেন আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নির্বাচনকালীন সরকারের শিশু ও মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সালম ইসলাম।
এই আসনে সালমা ইসলাম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরাসরি প্রথমবার অংশগ্রহণ করলেও বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুল মান্নান খান বিএনপি প্রার্থী আব্দুল মান্নানকে ৩৪ হাজার ৪৪৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে চমক সৃষ্টি করেন। তবে এবারের নির্বাচনে জাতীয় প্রার্টির মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ও আওয়ামীলীগের প্রার্থী এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খানের সাথে ভোট যুদ্ধে প্রথম বারের মত মুখোমুখি হচ্ছেন তারা দু’জন। দুই প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আর সেই লক্ষ্যেই আওয়ামীলীগৈর নৌকা প্রতীক নিয়ে এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান ও জাতীয় প্রার্টি (রওশন এরশাদের) লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছেন সালমা ইসলাম। সর্বশেষ দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণ করছেন দুই উপজেলার ভোটারগণ। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলা এই দুই প্রার্থীর লড়াই হবে ১৯/২০। তবে নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আব্দল মান্নান খানকে বয়কট করেছেন। অপরদিকে দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মান্নান খানের পক্ষে কাজ করছে না। এই হিসেবে জাতীয়পার্টির প্রার্থী সালমা ইসলাম এবারের নির্বাচনে জয়লাভ করবেন বলে সাধারন জনগন মনে করছেন। এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ, উপজেলা চত্ত্বর, স্থানীয় পার্টির অফিস, ও আশপাশের এলাকায় একাধিক মিটিং মিছিল করছে। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী পোষ্টার শোভা পাচ্ছে দুই উপজেলার হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট সহ ওলি-গলিতে। প্রচারণার দিকে অনেকটাই এগিয়ে আছে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভেকেট আব্দুল মান্নান খান। অপরদিকে জাতীয় পা্ির্টর পার্থী এ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচার ও প্রচারনা না করলেও গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার প্রচারণ শুরু করেছেন। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে বিভিন্ন কৌশল চালিয়ে যাচ্ছেন জাতীয় পার্টির এ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রথমে দিধাদন্ধ থাকলেও অবশেষে কৌশল নিয়ে মাঠে অবস্থান করছেন এই প্রার্থী। এই প্রার্থী প্রথম দিনেই নবাবগঞ্জ উপজেলা চূড়াইন, কামারখোলা, মুন্সীনগর, দূর্গাপুর, গবীন্দপুর, গালীমপুর, কোমরগঞ্জ, বক্সনগর, মাগমারা, নবাবগঞ্জের গণসংযোগ করে ভোটারদের সাথে।আগামী ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১(দোহার-নবাবগঞ্জ) এই আসনে দুই প্রার্থীর মধ্যে বিজয়ী কে হবেন তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন দুই উপজেলার ভোটাররা। নির্বাচনী ইস্তেহারে দুই প্রার্থীর মধ্যে কে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পারবেন ও ভোটের হিসাব নিকাশে ফল বের করতে পারবেন এটাই এখন দেখার ব্যপার মনে করছেন স্থানীয়রা।