মানব জাতির পূর্বপুরুষ সৌদি আরবে?

465
মানব জাতির পূর্বপুরুষ সৌদি আরবে?

মানবজাতির কবে পৃথিবীতে এসেছে, সে বিষয়ে এতদিন যে ধারণা বা আবিষ্কার ছিল, নতুন একটি আবিষ্কার সব ধারণাকে পাল্টে দিতে যাচ্ছে।

এতদিন পাওয়া নমুনায় ধারণা করা হতো আজকে মানুষের যে আকৃতি, সেটি এসেছে আফ্রিকা থেকে; ৬০ হাজার বছর আগে।

কিন্তু সম্প্রতি সৌদি আরবের একটি মরুভূমি থেকে এমন নমুনা পাওয়া গেছে, যেটি প্রায় ৮৮ হাজার বছর আগের। অর্থাৎ এতদিন যে ধারণা করা হতো, তার চেয়ে ২৮ হাজার বছর আগেই পৃথিবীতে পূর্ণাঙ্গ মানুষের উপস্থিতির প্রমাণ থাকার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেল।

মানব জাতির ইতিহাস নিয়ে রয়েছে বহু কল্পকথা। কোন মাটি দিয়ে সৃষ্টিকর্তা মানব জাতি বানিয়েছেন, কীভাবে শুরু হয়েছে আড্যাম আর ইভের যাত্রা, এসব নিয়ে রয়েছে নানা বর্ণনা। একেক ধর্মে আছে একের ধরণের বর্ণনা আর মানুষের বিশ্বাসে ধর্মগ্রন্থের এসব বর্ণনা প্রভাব বিস্তার করে আছে।

তবে বিজ্ঞানীরা চায় প্রমাণ। সম্প্রতি এমনি এক প্রমাণ পেয়েছেন তারা, যেখান থেকে জানা গেছে মানব জাতি সম্পর্কে এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

মনুষ্য প্রজাতিকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলা হয় ‘হোমো সেপিয়েন্স’। ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে তিন লাখ বছর আগে এসেছিল এই হোমো সেপিয়েন্সের পূর্বপুরুষরা।

অন্য খবর  সৌদিতে নিহত ৭ বাংলাদেশির পরিবার

৬০ হাজার বছর আগে আফ্রিকায় শুরু হয় হোমো সেপিয়েন্সের বিস্তার। আর সেখান থেকে বহু স্থান পরিবর্তন ও বিবর্তনের সাক্ষী হয়ে আজ মানুষ সৃষ্টির সেরা জীবে পরিণত হয়েছে।

কিন্ত গেল সপ্তাহে একটি পরীক্ষার পর পূর্বের সমীক্ষা নিয়ে দ্বিধায় পড়েছে বিজ্ঞানীরা। সৌদি আরবের নেফাদ মরুভূমি অঞ্চল থেকে প্রথম যুগের ‘হোমো সেপিয়েন্সের’ ছয় টুকরার একটি নমুনা হাড় আবিষ্কার করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী।

গবেষক হু গ্রকাট ও তার সহকর্মীরা মিলে সেই নমু্নাটিকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান, সেটি ৮৮ হাজার বছরের পুরনো। অর্থাৎ এর আগে ৬০ হাজার বছর আগে পাওয়া নমুনার চেয়ে এটি ২৮ বছর বছর পুরনো।

নেফাদ নামের যে মরুভূমি থেকে নমুনাটি সংগ্রহ করা হয়েছে, ৮৮ হাজার বছর আগে সেটি ছিল আধা শুষ্ক তৃণভূমি।

এখান থেকে পাওয়া নমুনায় আফ্রিকার ডিএনএ পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন নমুনাটি এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, অ্যামেরিকা, ইউরোপ দেশীয়দের ডিএনএর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। যদিও এনিয়ে এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলুয়েশন নামক একটি পত্রিকায় হু গ্রকাটের প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়েছে।

আপনার মতামত দিন