মো:আসিফ/মনেশ মূর্খাজী: দোহার-নবাবগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে ভাড়ায় মোটরসাইকল একটি সহজলভ্য ও সুবিধাজনক বাহন হিসাবে সর্বজনবদিতি। ভাড়ায় মোটরসাইকল পরিবহনে যেমন একদিকে ইতিবাচক দিক আছে তেমনি রয়েছে নেতিবাচক মনোভাবও।
দোহারের বিলাশপুরঘাট, ময়নটঘাট, বাহ্রাঘাট ও মানিকগঞ্জ যাওয়ার স্ট্যান্ডে এদেরকে দেখা যায়। নবাবগঞ্জের দাউদপুর, তুইতাল ও শিকারিপাড়াতে যাওয়ার সময় এ সমস্ত চালকদের ভাড়ায় খাটতে দেখা যায়। দূরত্বভেদে ভাড়া ১০০ থেকে ২০০/ ৩০০ পর্যন্ত নিয়ে থাকে। যাত্রীরা এদের কাছে অনেকটায় অসহায়। এদের নেই কোনো লাইসেন্সও। সাধারণতঃ বিদেশ ফেরত ও এলাকার যুবকদের পাশাপাশি চর ভদ্রাসন ও সদরপুর থেকে যুবকেরাও এ পেশায় আসছে। এতে আত্মকর্মসংস্থান হলেও বাড়ছে দূর্ঘটনা ঝুকি।
এ ব্যাপারে বিলাশপুরের জাকির হসেন জানান,বিদেশ যাইতে ৫/৬ লক্ষ টাকা লাগে। তাও সবাই কতো কস্ট করে। দ্যাখনের কেও নাই। হের চাইতে বাড়িতে আছি, বারীর ভাত খাই, মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা ইঙ্কাম হয়। ভালোয় আছি। তয় হূন্ডা বাইরে যাওনে প্রতিযোগিতা বাইরা গেছে।
বাস,নছিমন, ইজিবাইক ও রিকশার বা অন্যযাত্রী পরবিহনের চেয়ে মটরসাইকেলে অতি সল্প সময়ে গন্তব্যে পৌছানো যায়। ওই সকল পরবিহনের তুলনায় একটু ভাড়া বেশী হলেও হেলিকপ্টার খ্যাত এই ভাড়াটে মটরসাইকল ইদানিং মরন সাইকেলে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে নতুন চালকেরা অতি তীব্র গতিতে বেপরোয়া চালনা, হেল্মেট না পরা সহ নানা কারনে প্রায়ই র্মমান্তকি র্দুঘটনা ঘটছে।
এছাড়া কোন কোন মটরসাইকলে চালক অধিক যাত্রী পরিবহনের আশায় সামনে ও পিছনে চালকসহ ৪/৫ জনকেও বহন করতে দখো যায়; যা অত্যান্ত ঝুকিপুর্ণ।