ভাঙ্গছে বসতভিটা, থামছে না পদ্মা পাড়ের হাহাকার

244

পদ্মার বুকে  একে একে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। ঘুম ভাঙ্গছে না দ্বায়িত্বশীল  কারো। নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে নয়াবাড়ী বাধের ৪০০ মিটারেরও বেশি অংশ।

নদী পাড়ের কান্না থামছেই না। অশ্রু ভেজা নয়নে চোখের সামনে হারিয়ে যাচ্ছে শত বছরেরও পুরোনো বাপ দাদার ভিটামাটি। কিছুই করার নেই,  চোখের অশ্রুও যেন শুকিয়ে গেছে। কিছুই করার নেই,  নিজের নাড়ীর বাধন ছিড়ে যাওযার দৃশ্য  অসহায় ভাবে অবলোকন করা ছাড়া আর কিছু করার সাধ্য তাদের নেই।

রাস্তায় রাস্তায় নদী ভাঙ্গন কবলিতদের আহাজারীতে ভারী হয়ে উঠেছে মেঘুলা, নারিশা, নয়াবাড়ীর  বাতাস। শংকিত হয়ে অপেক্ষা কখন নিজের বসত ভিটা বিলীন হবে পদ্মার বুকে।

নয়াবাড়ী ইউনিয়নের অর্ধেকের বেশি এখন পদ্মার গর্ভে। ৬ বছর আগেও যে পদ্মা নয়াবাড়ী বাধ থেকে ৬ কিলো মিটার দূরে ছিল সেই পদ্মার পেটে এখন নয়াবাড়ী বাধের ৪০০ মিটারেরও বেশি এলাকা। চোখের সামনে হারিয়ে গেছে বেরি বাধের এই এলাকা।

গত ৬ বছরে শুধু মাত্র পদ্মা গর্ভেই হারিয়ে গেছে নয়াবাড়ি ইউনিয়নের ৩০০০ হাজারের মতো বসত ভিটা। এক সময়ের সমৃদ্ধ অঞ্চল অরেঙ্গাবাদের কোন অস্তিত্বই নেই এখন।
বিলিন হওয়ার অবস্থান পানকুন্ডু গ্রাম। এক সময়ের বিখ্যাত দুধের বাজার ধোয়াইর বাজার এখন ভাঙ্গনের সম্মুখিন। একেবারে  পদ্মাপাড়ে অবস্থান এসে দাড়িয়েছে বাজারটির। যেকোন দিন হারিয়ে যেতে পারে পদ্মার গর্ভে।

অন্য খবর  দোহারে র‌্যালী ও মাছের পোনা অবমুক্তকরণ

একই অবস্থা দোহারের অন্যতম বাজার মেঘুলা বাজারেরও। ঠেকতে  ঠেকতে এই বাজারের কাছেই অবস্থান নিয়েছে পদ্মা। যেকোন দিন ভাঙ্গন শুরু হয়ে যেতে পারে এই বাজারের।

আপনার মতামত দিন