ধর্ম নিয়ে কটূক্তির জের ধরে ভোলার বোরহানউদ্দিন থানার অদূরে পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। ফেসবুকের মেসেঞ্জারে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শনিবার বিপ্লব বিশ্বাস নামে এক যুবককে আটক করে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ। এই ঘটনার জেরে রবিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে বোরহানউদ্দিন থানা ঘেরাও করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।
নিহতদের মধ্যে দুজন ভোলা সদর হাসপাতালে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. রথিন্দ্র নাথ রায়। এদিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুজনের মৃত্যু হয়েছে জানিয়েছেন হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো শাহিন। তিনি জানান, মাহবুব ও শাহিন নামে দুজন বোরহান উদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান।
নিহত মাহবুব মাদ্রাসার ছাত্র এবং শাহিন কলেজছাত্র বলে জানা গেছে। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে এ ঘটনার জেরে এলাকায় এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ।
সূত্রে জানা যায়, বোরহানউদ্দিনে বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামে এক যুবক শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে নিজ ফেসবুক আইডি থেকে কয়েকজনের সঙ্গে মেসেঞ্জারে ধর্ম নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। একপর্যায়ে কয়েকটি আইডি থেকে ম্যাসেজগুলোর স্ক্রিনশট নিয়ে ফেসবুকে কয়েকজন প্রতিবাদ জানালে বিষয়টি অনেকের নজরে আসে। পরবর্তীতে ফেসবুকে এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
এ অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যার পর বিপ্লব চন্দ্র বোরহানউদ্দিন থানায় গিয়ে তার ফেসবুক আইডি হ্যাকড হয়েছে বলে জানান। এ ব্যাপারে তিনি জিডি করতে চাইলে থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানা হেফাজতে রাখেন।
শনিবার সকালে এ ঘটনায় বিপ্লব চন্দ্রের বিচার দাবি করে বোরহানউদ্দিনের কুঞ্জেরহাট বাজারে ‘মুসলিম তৌহিদি জনতা’ ব্যানারে মানববন্ধন এবং বোরহানউদ্দিন থানার সামনে বিক্ষোভ হয়। এ সময় তারা ঘটনার সত্যতা যাচাই করে বিপ্লব চন্দ্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
আপনার মতামত দিন