ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হলেও সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় হাসনাবাদ। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বছরের প্রায় ছয় মাস পানিবন্দি হয়ে থাকতে হয় এই গ্রামের ছয়-সাত হাজার মানুষকে। প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে এলেই হাঁটুপানি মাড়িয়ে যেতে হয় তাদের। এর মধ্যে রাস্তায় গর্ত তো আছেই। একাধিক বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়-সমৃদ্ধ এলাকা হওয়ায় এই দুর্ভোগ নিত্যদিনের। অন্যদিকে পানিবাহিত রোগে ভুগছেন স্থানীয় অনেকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসনাবাদের অধিকাংশ রাস্তাঘাট কাঁচা ও নিচু। সামান্য বৃষ্টি হলেই তা হাঁটু পানিতে পরিণত হয়। বছরের মে মাস থেকে নভেম্বর এই ছয় মাস তলিয়ে থাকে রাস্তাগুলো। হাসনাবাদ জপমালা গির্জার পাশেরর এলাকাতেই রয়েছে মাদার মেরি ও সেন্ট যোসেফ নামে দুটি কিন্ডারগার্টেন, একটি ক্যাটারিং ট্রেনিং সেন্টারসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। এখানে যাতায়াতের রাস্তাগুলো পানিতে নিমজ্জিত থাকায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ভর্তিতে অনাগ্রহ দেখায় অনেকে।
এদিকে অন্তত সাত ব্যাংক ও পাঁচ ক্লিনিকসমৃদ্ধ বাণিজ্যিক কেন্দ্র বান্দুরাবাজারের পাশের এলাকা হওয়ায় এই দুর্ভোগ পোহাতে হয় বিভিন্ন স্থানে থেকে আসা মানুষের। এলাকাবাসী জানায়, বান্দুরা ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস অনেক আগে থেকেই। প্রবাসী অধ্যুষিত এই এলাকাটির মানুষের জীবনযাত্রার মান আগে থেকেই বেশ উন্নত। তবে সেই তুলনায় উন্নয়ন হয়নি এলাকার রাস্তাঘাট। বর্তমানে স্থানীয়দের স্বাচ্ছন্দ্য জীবনযাপনে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বেহাল পথঘাট।
বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, বর্র্ষা মৌসুম শুরু হলে ড্রেন নির্মাণের কথা বলে জনপ্রতিনিধিরা আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যান। পরে আর কোনো খবর থাকে না তাদের। এ ছাড়া নির্বাচন এলে প্রার্র্থীরা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাস দিলেও পরে কারো দেখা মেলা ভার। রাস্তা উঁচু কিংবা পয়োনিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্র্মাণ করা হলে জলাবদ্ধতার হাত থেকে প্রতিকার মিলবে বলে জানান হাসনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা প্রণয় আনজুস, কালিপদ বিশ্বাসসহ অনেকে।
টানা তিনবারে বান্দুরা ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন মো. হিল্লাল মিয়া। সমস্যা নিয়ে কথা বলতে তার ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।