দোহারের নারিশা ইউনিয়নে গত বছর পদ্মার ভাঙ্গন প্রক্রিয়া কিছুটা শ্লথ থাকার পর এ বছর আবার বেড়েছে কীর্তিনাশা পদ্মার ভাঙ্গন। সবার ভাবটা এমন আমার বাড়ীতো ঠিক আছে, আমারটাতো ভাংছে না। ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে পদ্মা। রাণীপুরের গ্রামটি আর নেই, বিলীন হওয়ার দিকে নারিশা পশ্চিম চর ও মধুর চর। তীব্র ঝুকিতে বাহ্রা, ধোয়াইর ও মেঘুলা বাজার। বর্ষার শুরুতেই এই ভাঙ্গন আশঙ্কিত করেছে সকলকে।
(রাণীপুরের ব্রীজ, গত বছরের ছবি।)
(রাণীপুরের ব্রীজ, গতকালের ছবি।)
নারিশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দীন দরানীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টাই ড্রেজার এসেছে, জিও ব্যাগ ফেলার সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াধীন। প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিরা আসছে, দেখছেন । কিন্তু তারা কি করছেন বা করবেন জানে না জনগণ।
এ ব্যাপারে দোহার নবাবগঞ্জ সোশ্যাল মুভমেণ্টের সহ-সভাপতি শহিদুর রহমান সুমন নিউজ৩৯ কে বলেন, আমাদের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের কারণে সকল জাতীয় গণ মাধ্যমে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে নদী ভাঙ্গগনের কথা। সকল রাজনীতি ও প্রশাসন কর্তা ব্যাক্তিরা জন সাধারণের এই দাবীতে নড়ে চড়ে বসেন। উপজেলা নির্বাচনে প্রধান ইস্যু হয় নদী ভাংগন বিষয়টি। এরপর আমরা সালমান এফ রহমান ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের মাধ্যমে জানতে পারি বাধ হচ্ছে পদ্মায়। একনেকে ২১৬ কোটি টাকার বিল ও পাশ হয়। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বাধের কাজ শুরু হয়; কিন্তু কি এক অজ্ঞাত কারনে আজো তা শুরু হয়নি। স্থানীয় চেয়ারম্যান দরানী সাহেব বাশের বাধ দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন কিন্তু উন্মত্ত পদ্মা কি মানবে? আমরা অতি দ্রুত ওয়াদার বাস্তবায়ন চাই, তা না হলে রাজনীতিবীদেরা বিশ্বাস যোগ্যতা হারাবেন।