ঢাকার জেলার দোহার উপজেলার সর্ব পশিমের নয়াবাড়ি ও কুসুমহাটির দুটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মূল্যায়ন পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থী ছাড়াও স্বয়ং ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান দোহারে তার সফরের সময় তিনি এই অভিযোগের সত্যতা পেয়ে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবাকে যথযথ ব্যবস্থা নিতে বলেন।
জানা যায়, শিক্ষাবোর্ডের কোনের ধরনের নির্দেশনা না থাকলেও এই দুই বিদ্যালয়ে ত্রৈমাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয় এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ২০০ টাকা এবং নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য যথাক্রমে ৩৭০ ও ৪৭০ টাকা ফি ধার্য করা হয়। জানা গেছে, বিদ্যালয় দুটিতে দুই হাজারের অধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে।
কুসুমহাটি ইউনিয়নের কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে মূল্যায়ন পরীক্ষা। বিদ্যালয়টিতে রয়েছে হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে মূল্যায়ন পরীক্ষার ফি।
কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ফারুক-ই-আজম নিউজ৩৯কে বলেন, মূল্যায়ন পরীক্ষা নিতে বাঁধা নেই। আর ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার মানের উন্নয়নের জন্যই এই মূল্যায়ন পরীক্ষা। আর পরীক্ষার খাতা কেনা, প্রশ্ন তৈরি করতে টাকার প্রয়োজন। তাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি নেওয়া হয়েছে। এটা দোষের কিছু নয়।
এছাড়া দোহার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নের বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়েও নেয়া হচ্ছে মূল্যায়ন পরীক্ষা। এ ব্যপারে বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরজ কুমার বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্দেশে এই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। আর শিক্ষার্থীরা যেন নিজেদের আরো ভালভাবে মূল্যায়ন করতে পারে সেজন্যই এই পরীক্ষা। এতে খারাপের কি আছে বুঝতে পারছি না।