বার্সেলোনার নকআউট পর্বের আশা বাঁচিয়ে রাখতে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে জিততেই হতো প্লজেনকে। আর বার্সাকেও জিততে হতো বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে। তবে হিসাব-নিকাশ জটিল হওয়ার সুযোগ না দিয়ে বুধবার দিনের প্রথম ম্যাচে প্লজেনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইন্টার। আর গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া বার্সাও বায়ার্নের বিপক্ষে হেরেছে নিদারুণভাবে।
অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারিনায় বায়ার্নের বিপক্ষে লড়ে গেলেও নিজেদের মাঠে বাভারিয়ানদের সামনে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করেছে বার্সা। ন্যু ক্যাম্পে শুরু থেকেই বার্সাকে চাপে রাখে বায়ার্ন। ১০ম মিনিটে আদায় করে নেয় প্রথম গোলও। বেলেরিনকে ফাঁকি দিয়ে বার্সার ডিফেন্স চিড়ে এক লং বল পাঠান সার্জ গ্যানাব্রি। সেই বল নিয়ে বক্সের দিকে এগিয়ে গিয়ে যান সাদিও মানে। বক্সে ঢুকে সুনিপুণভাবে স্টেগানকেও পরাস্ত করেন এই সেনেগালিজ।
৩১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এরিক ম্যাক্সিম চপো-মোটিং। বিরতির পর গ্যানাব্রি একটি গোল পেলেও অফসাইডের জন্য তা বাতিল হয়। যোগ করে সময়ে গিয়ে অবশ্য ঠিকই ব্যবধান ৩-০ করেন বদলি নামা বেঞ্জামিন পাভার্ড।
অপরদিকে সান সিরোতে প্লজেনকে দাঁড়াতেই দেয়নি স্বাগতিক ইন্টার। ৩৫ মিনিটে হেনরিখ মিথাতারিয়ানের হেড থেকে গোলের খাতা খুলে তারা। বিরতির আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এডিন জেকো। ৬৬ মিনিটে লাউতারো মার্টিনেজের পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন জেকো। ৮৩ মিনিটে বদলি নেমে ব্যবধান ৪-০ করেন রোমেলু লুকাকু।
এদিকে নাপোলি ও লিভারপুল দুদলই ৩-০ গোলের জয় নিয়ে নিজেদের গ্রুপ থেকে কেটেছে নকআউট পর্বের টিকিট। নকআউট রাউন্ড নিশ্চিত করতে আয়াক্সের বিপক্ষে লিভারপুলের ড্রই যথেষ্ট ছিল। তবে অ্যামস্টারডাম থেকে তিন পয়েন্ট নিয়েই ফিরল ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। ম্যাচের শুরুতে স্বাগতিকরা বেশ চাপে রাখলেও ৪২ মিনিটে দুর্দান্ত এক ওয়ান-টাচ ফিনিশে দলকে এগিয়ে নেন মোহামেদ সালাহ। বিরতির পর এক কর্নার থেকে ব্যবধান ২-০ করেন লিভারপুলের উরুগুয়াইন স্ট্রাইকার ডারউইন নুনেজ। সালাহর বাড়ানো বল থেকে ৫২ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন তরুণ হার্ভি এলিয়ট। এই জয়ে টানা ষষ্ঠ মৌসুমের মতো নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে লিভারপুল।
বার্সেলোনার মতো গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত করেছে আরেক স্প্যানিশ পরাশক্তি, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। বায়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে দুবার পিছিয়ে পড়েও ড্র করে অ্যাটলেটিকো। কিন্তু নকআউটের আশা বাঁচিয়ে রাখতে যে জিততেই হতো তাদের। ম্যাচের শেষ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে সেই সুযোগও হাতের মুঠোয় পেয়েছিল স্বাগতিক অ্যাটলেটিকো। কিন্তু কারাসকোর নেওয়া পেনাল্টি এবং রিবাউন্ডে কোকের হেড কোনোটিই জড়ায়নি জালে। শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে ফেরা অ্যাটলেটিকো চাইবে এখন পরের ম্যাচে জিতে ইউরোপার টিকিট নিশ্চিত করতে।