নবাবগঞ্জ উপজেলার পুরাতন বান্দুরা দেওয়ান ক্লিনিক এর পশের মার্কেটে আগুন লেগে ৮টি দোকান পুরে ছাই হয়ে গেছে। ৩১ মার্চ রাত সাড়ে ৮টায় এ আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার রাত সারে ৮ টায় আল-কাদেরিয়া কসমেটিকেসের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে, মুহূর্তে আগুন পাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ঘটনা স্থানে আসার আগেই দুটি কসমেটিকসের দোকান, ফার্মেসি, স্টুডিও, জুতার দোকান ও মার্কেটের সামনে অস্থায়ী ফলের দোকানসহ ৮ টি দোকান পুরে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানায়, নুরুল ইসলামের ২২ লাখ টাকার কসমেটিকস সামগ্রী ও ক্যাশে থাকা ৩ লক্ষ টাকা, মামা-ভাগ্নে ফার্মেসির মো. নয়নের ৫ লাখ টাকার ঔষুধ, জীবন ঘোষের ১০ লাখ টাকার কসমেটিকস সামগ্রী ও ক্যাশে থাকা ৫ লক্ষ টাকা, পরিতোষ-এর চিত্র-দূত স্টুডিও-এর ভিতরে থাকা বিভিন্ন জিনিস, রাসু কর্মকারের ৭ লক্ষ টাকার জুতা আগুনে পুরে গেছে।
কেরাণীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক তারে শর্ট সার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল।
দুর্ঘটনার পর সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসীন রহমান আকবর, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম জালাল, বান্দুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিল্লাল মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ যে, নবাবগঞ্জ উপজেলায় কোন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার সম্পদ ভস্মীভূত হচ্ছে। অগ্নিকান্ড ঘটলে প্রায় ৩০ কি.মি. দূরে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসে থাকা লোকজন আসতে আসতে সবকিছুই পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। সরকারের প্রতি এলাকাবাসী এ প্রতিনিধির মাধ্যমে জোড় দাবী জানান, অবিলম্বে নবাবগঞ্জ উপজেলায় একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হোক। ২০১৩ সালে নবাবগঞ্জে আগুনে পুরে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি ও ৫ জন নিহত হয়েছিল।