বাংলা সাহিত্যে ভ্রমণ কাহিনী, বাংলা ভাষায় ভ্রমণসাহিত্যের পরিভ্রমণই এই আলোচনার বিষয়বস্তু। বাংলা সাহিত্যের বয়স অনেক, কিন্তু শুরু দিকে কয়েক শতাব্দী সে কাটিয়েছে পদ্যে পদ্যে। গদ্যে ঢুকেছে ঢের পরে।
উপন্যাস লেখার আগে তার ঘটনা লেখকের জীবনে ঘটতে হবে এমন বেশিরভাগ সময় জরুরী না হলেও ভ্রমণ কাহিনী লেখার আগে লেখককে ভ্রমণ করতে হয়। বাংলা সাহিত্যের প্রথম ভ্রমণকাহিনী কোনটা তার আগের প্রশ্ন বাঙালী ভ্রমণ করা শুরু করেছিল কবে? সত্যি বলতে আমাদের ভ্রমণের ঐতিহ্য বা ইতিহাস খুব পুরোনো না। বিচ্ছিন্ন কিছু ভ্রমণ হলেও আধুনিক যুগের আগে বাঙালি তেমন ভ্রমণ করে নি। সম্ভবত প্রয়োজন হয় নি। বরং তাবৎ দুনিয়াই বাংলায় আসতে মুখিয়ে ছিল। তবে অবাক করার বিষয় যে বাংলায় ভ্রমণসাহিত্য গদ্যসাহিত্যের সমবয়সী।
বাংলার ধ্রুপদী সাহিত্যের অনেকেই ভ্রমণ কাহিনী লিখেছেন, অন্যান্য গদ্য সাহিত্যের তুলনায় সেটি কম বটে। আমাদের এই পুরো আলোচনায় ভ্রমণসাহিত্য বলতে শুধু ‘নন-ফিকশন’ বুঝব, কল্প-ভ্রমণ বা উপন্যাস নয়। যেমন ‘চাঁদের পাহাড়” একটা ভ্রমণ উপন্যাস, এটি আমাদের আলোচনায় আসবে না। যদিও আমাদের আলোচনার শিরোনাম বাংলা সাহিত্যে ভ্রমণ কাহিনী, তবু শুধু বাংলা ভাষায় সীমাবদ্ধ থাকব না, বাংলা অঞ্চলে বিদেশীদের ভ্রমণ ও বাঙালিদের বিদেশী ভাষায় লেখার অনুবাদকে আলোচনায় রাখব।
দেশী লেখকদের বাইরে আর এক ধরণের ভ্রমণবিত্তান্ত আমরা পেয়েছি। মধ্য যুগে ইবনে বতুনা, ফা শিয়েন, হিউয়েন সাং প্রমুখ বিদেশী অভিযাত্রীরা এ দেশে এসেছেন, সেই বিবরণ বইয়ে আবদ্ধ হয়েছে। তারপর উপনিবেশিক আমলে শাসকগোষ্ঠী তাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করেছেন গবেষণার প্রয়োজনে বা অন্য কোনো কারণে। তবে সেগুলো আমরা পেয়েছি অনুবাদের মাধ্যমে।
বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় ৫৩ বছর বয়সে রচনা করেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম ভ্রমণ কাহিনী ‘কালনা থেকে রংপুর‘। তিনি ১৮৪০ সালে লেখা তার রচনার কেনো নাম দেন নি, রোজনামচার (ডায়রি) ধাঁচে লিখেছেন। “কালনা থেকে রংপুর’ নামটি পরে দেয়া। ভ্রমণকাল ১৫ কার্তিক ১২৪৭ থেকে ১৪ অগ্রহায়ণ ১২৪৭ বঙ্গাব্দ (১৮৪০ খ্রিস্টাব্দ)। সাতাশ দিনে নৌকাযোগে তিনি কালনা থেকে রংপুর গিয়েছিলেন। রচনায় ছেদ ও যতির ব্যবহার নেই, গদ্যে বিরামচিহ্ন প্রয়োগের রীতিও সে সময় শুরু হয় নি।
প্রথম বাংলা উপন্যাস ‘ফুলমণি ও করুণার বিবরণ‘ লিখেছেন হ্যানা ক্যাথেরিন ম্যলেন্স নামে একজন বিদেশী মিশনারী, লেখা হয় ১৯৫২ সালে। এই বাবদে দেখা যাচ্ছে বাংলা ভ্রমণসাহিত্যের বয়স বাংলা উপন্যাসের চেয়ে বেশি। বাংলা গদ্য সাহিত্য শুরু হয় ভ্রমণ কাহিনী দিয়ে বললে কি বেশি হবে? ‘ফুলমণি ও করুণার বিবরণ’-কে সফল উপন্যাস বলা হয় না। বাংলা ভাষায় প্রথম সফল উপন্যাস আলালের ঘরের দুলাল লেখা হয় ১৮৫৮ সালে। তবে প্রথম বাংলা গদ্য লেখা হয়েছিল বহু আগে, দোম আন্তোনিও ব্রাহ্মণ রোমান ক্যাথলিক সংবাদ নামের একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তিনি মারা যান ১৬৯৫ সালে।
সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পালামৌ’ হল বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় ও প্রথম “সফল” ভ্রমণকাহিনী। তিনি ঝাড়খণ্ডের পালামৌ ভ্রমণ করার বহুদিন পর ‘পালামৌ’ লেখেন। ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় মোট ছয় কিস্তিতে এটি প্রকাশিত হয় ১৮৮০ থেকে ১৮৮২ সালের মধ্যে।
পদ্যসাহিত্যে কিছু প্রাচীন ভ্রমণবৃত্তান্ত পাওয়া যায়, তবে তার কতটা বাস্তব আর কতটা কল্পনা তা নিশ্চিৎ হওয়া যায় না।
কাশ্মীর কুসুম: লিখেছেন রাজেন্দ্র মোহন বসু, প্রকাশকাল ১৮৭৫ খ্রি.।
A Journey to Lhasa and Central Tibet: শরচ্চন্দ্র দাশ (১৮৪৯-১৯১৭ খ্রি.) রচিত একটি বইয়ের অনুবাদ সম্প্রতি হইচই ফেলেছে। ১৮৮১ সালে প্রকাশিত A Journey to Lhasa and Central Tibet বইটি সম্প্রতি শরচ্চন্দ্র দাস : নিষিদ্ধ তিব্বতে প্রথম বাঙালি নামে প্রকাশিত হয়েছে। যদিও তিনি তিব্বতে প্রথম বাঙালি নন, তবু অনুবাদের শিরোনামের নিকেশ দেয়া হয়েছে এই বলে যে তিনি তিব্বত নিষিদ্ধ হবার পরের প্রথম বাঙালি ভ্রমণকারী। তার অগ্রজ বিক্রমপুরের অতীশ দিপঙ্কর। এর আগেও বইটি ‘তিব্বত ভ্রমণবৃত্তান্ত’ নামে অনুদিত হয়ে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা না হলেও বাঙালি ভ্রমণকারী হিসেবে এই বই আগ্রহের তালিকায় আছে।
বিলায়েতনামা: এটাও আরেকটি অনুবাদ, ভ্রমণকারী ও লেখক বাঙালি, মির্জা শেখ ইতিসামুদ্দিন। ফারসি ভাষায় প্রথম রচিত ১৭৭৯ খ্রি., বইয়ের নাম ‘শিগার্ফ-নামা-এ-বিলায়েত’ (বিলাতের আশ্চর্য দৃশ্যাবলি)। নদীয়ার পাঁচনুরে জন্মগ্রহণকারী ইতিসামুদ্দিনই প্রথম বাঙালি যিনি প্রথম বিলেত ভ্রমণ কাহিনী লিপিবদ্ধ করেন। আবু মহামেদ হবিবুল্লাহ ১৯৮১ সালে প্রকাশ করেন। যদিও এটি আক্ষরিক অনুবাদ নয়, “মূলানুবাদ”।
দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় ফ্রান্সিস বুকানন (১৭৯৮) – ফ্রান্সিস বুকানন
ইংলন্ডে বঙ্গমহিলা: লেখিকা কৃষ্ণভাবিনী দাস, ১৮৮৫ সালে প্রকাশিত। এটি বাংলাসাহিত্যে মহিলা লিখিত প্রথম ভ্রমণ কাহিনী।
আর্য্যাবর্ত্তে বঙ্গমহিলা: লেখিকা প্রসন্নময়ী দেবী, প্রকাশকাল ১৮৮৮ খ্রি.।
আমার ইউরোপ ভ্রমণ: ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যয় ১৮৮৮ খ্রি. বিলেত গিয়েছিলেন সরকারি কাজে। সেই ভ্রমণ নিয়ে তিনি ইংরেজিতে A Visit to Europe শিরোনামে ১৮৮৯ সালে বই প্রকাশ করেন। ১৯৮২ সালে ‘আমার ইউরোপ ভ্রমণ’ নামে সেই বইয়ের অনুবাদ প্রকাশ করেন পরিমল গোস্বামী।
ইউরোপ পরিভ্রমণ: রমেশচন্দ্র দত্ত
জলধর সেন: জলধর সেনের ভ্রমণ বিষয়ক বইয়ের সংখ্যা মোট ৯টি। বইগুলো হল ‘প্রবাসচিত্র’ (১৮৯৯ খ্রি.) ‘হিমালয়‘ (১৯০০), ‘পথিক’ (১৩০৮ বঙ্গাব্দ), ‘হিমাচল বক্ষে’ (১৩১১ বঙ্গাব্দ), ‘হিমাদ্রি’ (১৩১৮ বঙ্গাব্দ), ‘দশদিন’ (১৩২৩ বঙ্গাব্দ/১৯১৬ খ্রি.)।
ইংলন্ডে সাত মাস: জগৎমোহনী চৌধুরী (১৯০২)
সচিত্র ভারত প্রদক্ষিণ: ১৯০৩ সালে দুর্গাচরণ রক্ষিত রচিত বইয়ে বৃত্তান্তের পাশাপাশি রয়েছে ১৮টি ছবি যা সে সময়ের জন্য দুর্লভ সংযোজন।
উত্তরখণ্ড পরিক্রমা বিদ্যাবিনোদ রচিত তীর্থভ্রমণ বিবরণ যার প্রকাশকাল ১৯১২ সাল। এই রকম আরও কিছু তীর্থভ্রমণ বিবরণ আছে।
হিমালয় ভ্রমণ: লেখক শুদ্ধানন্দ ব্রহ্মচারী (১৯১২)।
তুরস্ক ভ্রমণ: ইসমাইল হোসেন সিরাজীর লেখা ‘তুরস্ক ভ্রমণ‘ (১ম খণ্ড) প্রকাশিত হয় ১৯১৩ সালে, কিন্তু ২য় খণ্ড লিখিত হলেও আর প্রকাশিত হয় নি।
বঙ্গমহিলার জাপান যাত্রা: হরিপ্রভা তাকেদা (১৯১৫)। ১৯০৭ খ্রি. জাপানি যুবক তাকেদার সাথে হরিপ্রভার বিয়ে হয় ঢাকায় এবং তিনি স্বামীর সাথে জাপান যান ১৯১২ খ্রি.। সেই জাপানে বসবাসের অভিজ্ঞতা সংবলিত অনবদ্য গ্রন্থ ‘বঙ্গমহিলার জাপান যাত্রা’।
আমার য়ুরোপ ভ্রমণ: এটি অনুবাদ, ১৯১৫ সালে বর্ধমানের মহারাজা মহতাবচাঁদ বাহাদুর রচিত ‘Impressions’ বইয়ের অনুবাদ প্রকাশ করেন জলধর সেন।
নরওয়ে ভ্রমণ: বিমলা দাশগুপ্তা (১৯১৫)!
পারস্যে বঙ্গ রমণী: শরৎরেণু দেবী (১৯১৬)
জাপান ভ্রমণ: অবলা বসু (১৯১৬)
ভ্রমণকারী বন্ধু হইতে প্রাপ্ত: লেখক ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত। ৭ পৌষ ১২৬১ বঙ্গাব্দ থেকে এই শিরোনামে পূর্ববঙ্গের ভ্রমণবৃত্তান্ত প্রকাশ করেন ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকার সম্পাদক ও কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত। এটি বই হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল কিনা বা আজ পাওয়া যাবে কিনা সেই সুলুক সন্ধান করতে হবে।
হেজাজ ভ্রমণ: বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লাহ ১৯২০ সালে হজ শেষে ১৯২১ সালে প্রকাশ করেন তাঁর বিখ্যাত ভ্রমণ কাহিনী ‘হেজাজ ভ্রমণ’।
ভূ-প্রদক্ষিণ: চন্দ্রশেখর সেন ১৮৮৯ সালে বেরিয়ে নানা দেশ ঘুরে এসে বইটি প্রকাশ করেন।
দু চাকায় দুনিয়া – বিমল মুখোপাধ্যায়, দুই বিশ্বযুদ্ধের মাঝে ১৯২৬ সালে বিমল মুখোপাধ্যায় বেরিয়েছিলেন বিশ্বভ্রমণে – আরব, ইরান, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, চিন, হং-কং, ভিয়েতনাম মিলিয়ে সমস্ত বড় দেশ গুলি ঘুরে দেশে ফেরেন ১৯৩৭ সালে। তবে বই প্রকাশে অনেক দেরি করেছেন। ভ্রমণ শেষ করার ৫০ বছর পর ১৯৮৬ সালে বইটি প্রকাশ করেন। বর্তমানে বইটির প্রতি ব্যাপক আগ্রহ পাঠকদের।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
১. য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র (১৮৮১)
২. য়ুরোপ-যাত্রীর ডায়রি (১৮৯২)
৩. জাপানযাত্রী
৪. পশ্চিমযাত্রীর ডায়রি
৫. জাভা-যাত্রীর পত্র
৬. রাশিয়ার চিঠি
৭. পারস্যে
৮. পথের সঞ্চয়
মুসাফির -চৌধুরী শামসুর রহমান, ১৯২০ সালের দশকে বাড়ি থেকে পালিয়ে বোম্বে পর্যন্ত ভ্রমণ
মহাপ্রস্থানের পথে – প্রবোধকুমার সান্যাল
রামনাথ বিশ্বাস: এক বিস্ময়কর অভিযাত্রী। ১৮৯৪ সালে হবিগঞ্জের বানিয়াচং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩১ সালে সাইকেলে চড়ে প্রথম ভ্রমণে তিনি মালয়, শ্যাম, ইন্দোচীন, চীন, কোরিয়া, জাপান হয়ে কানাডায় পৌঁছান। ১৯৩৪ সালে তিনি গ্রামে ফিরেন। দ্বিতীয়বার বিশ্বযাত্রায় (১৯৩৪-৩৬) তিনি আফগানিস্তান, পারস্য, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, তুরস্ক, বুলগেরিয়া, যুগোস্লাভিয়া, হাঙ্গেরী, অস্ট্রিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া, জার্মানি, হল্যান্ড, বেলজিয়াম, ফ্রান্স হয়ে, ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড বৃটেন পৌঁছান। তৃতীয়বার বিশ্বযাত্রায় (১৯৩৬-৪০) কেনিয়া, উগান্ডা, নায়াসাল্যান্ড, রোডেসিয়া হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছান। এখান থেকে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান। দেশভাগের পরও তিনি নিজ গ্রাম বানিয়াচঙ্গেই থেকে যান, পরে পাঁকাপাকিভাবে ভারত চলে যান। তার বইগুলো:
- অন্ধকারের আফ্রিকা
- আজকের আমেরিকা
- যুযুৎসু জাপান
- তরুণ তুর্কী
- দুরন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা
- নিগ্রো জাতির নতুন জীবন
- প্রশান্ত মহাসাগরে অশান্তি
- বেদুইনের দেশে
- ভবঘুরের বিশ্বভ্রমণ
- ভিয়েতনামের বিদ্রোহী বীর
- মাউ মাউএর দেশে
- মালয়েশিয়া ভ্রমণ
- লাল চীন
- বিদ্রোহী বলকান
- সর্ব্ব-স্বাধীন শ্যাম
- হলিউডের আত্মকথা
- ট্যুর রাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড উইদাউট মানি (Tour Round The World Without Money)
- নাবিক
- সাগর পারের ওপারে
- আগুনের আলো
- মুক্ত মহাচীন
- দ্বিচক্রে কোরিয়া
- পৃথিবীর পথে
- ফ্রান্সে ভারতীয় ভূপর্যটক
- মরণ বিজয়ী চীন
- আমেরিকার নিগ্রো
- আফগানিস্থান
অন্নদাশঙ্কর রায়:
১. পথে প্রবাসে – ইউরোপ – ভ্রমণকাল – প্রকাশকাল ১৯৩১
২. জাপানে – জাপান – ভ্রমণকাল ১৯৫৭ – প্রকাশকাল ১৯৫৯
৩. চেনাশোনা – প্রকাশকাল ১৯৭৫
সৈয়দ মুজতবা আলী
- দেশে বিদেশে (১৯৪৯) – আফগানিস্তান ভ্রমণ
- জলে ডাঙ্গায় (১৯৬০) – মালদ্বীপ ভ্রমণ
- ভবঘুরে ও অন্যান্য
- মুসাফির
- বিদেশে
ইব্রাহিম খাঁ:
- সব-পেয়েছির দেশে (১৯৪১) – শান্তিনিকেতন নিবাসের বিবরণ
- জাপানি জর্নাল (১৯৬২)
- দেশান্তর (১৯৬৬)
শেখ ওয়াজেদ আলি
- পশ্চিম ভারত (১৯৪৮)
- মোটর যোগে রাঁচী সফর (১৯৪৯)
- চলে মুসাফির (১৯৫২) – পঞ্চাশের দশকের মার্কিন মুল্লক, লন্ডন, তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান, বাহরাইনসহ নানা বর্ণনা
- হলদে পরীর দেশে ( ১৯৬৭) – সাবেক যুগোস্লাভিয়া ভ্রমণ
- যে দেশে মানুষ বড় (১৯৬৮) – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের রাশিয়া, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান ভ্রমণ
- জার্মানীর শহরে বন্দরে (১৯৭৫)
- দ্বিতীয় পৃথিবীতে (১৯৬০)
- পথ বেঁধে দিল (১৯৬০)
- দুই সাগরের দেশে (১৯৬৭)
- পথ ও পৃথিবী (১৯৬৭)
মস্কোতে কয়েকদিন (১৯৫৯): তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
- হোটেল গ্রেভার ইন (১৯৮২)
- মে ফ্লাওয়ার (১৯৯১)
- যশোহা বৃক্ষের দেশে (১৯৯৪)
বন্দর থেকে বন্দরে (সানাউল হক)
ডাক দিয়ে যায় হাভানা – মামুনুর রশীদ
রনবীর বিশ্ব দর্শন ও রম্যকথন – রনবী
গজমোতির দেশ আইভরিকোস্ট – কাজি জহিরুল ইসলাম
সূত্র:
১. ড. মোহাম্মদ আলী খান, বাংলা ভ্রমণসাহিত্যের গোড়ার কথা