ঢাকা-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেছেন, অনেকে মনে করে বঙ্গবন্ধু বেসরকারি খাতের পক্ষে ছিলেন না। এটি সত্য নয়। স্বাধীনতার পর ফরেন এক্সচেঞ্জ ছিল না। ফলে বাণিজ্য করতে হতো বার্টার সিস্টেমে। কিছু পণ্য রফতানির বিপরীতে আমদানি হতো। যখন বেক্সিমকো শুরু করলাম আমাদের প্রস্তাবে রাজি হলেন। তবে শর্ত দিলেন ৬০ শতাংশ প্রচলিত পণ্য রফতানি করতে পারব। বাকি ৪০ শতাংশ অপ্রচলিত পণ্য।
তিনি বলেন, পাট চামড়া আর চিংড়ি এগুলো ছিল অপ্রচলিত পণ্য। তখন চা কে রফতানিপণ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেন বঙ্গবন্ধু। ওষুধ সার কীটনাশক এনেছি। তখন থেকেই রফতানি বহুমুখীকরণের গুরুত্ব বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন। সেটা বাস্তবায়নের জন্য বেসরকারি খাতকেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে আনা সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে আজ বুধবার জাতীয় সংসদে এসব কথা বলেন সালমান ফজলুর রহমান।
গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা জানাতে ১৪৭ বিধিতে সাধারণ প্রস্তাব জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন। সেই প্রস্তাবের ওপর সংসদ সদস্যদের আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ আলোচনায় অংশ নিয়ে সালমান ফজলুর রহমান বলেন, পাকিস্তান আমলে বেশিরভাগ শিল্পের মালিক ছিল পাকিস্তানিরা। বঙ্গবন্ধু শিল্পকারখানা জাতীয়করণ করে সেগুলোর প্রশাসক নিয়োগ দিলেন আমাদের। পরিচালনার দায়িত্ব আমাদের হাতেই থাকলো।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বঙ্গবন্ধুর মতো বেসরকারি খাতরে ওপর বিশ্বাস রাখেন। বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তবে এতদিন সোনার বাংলা গড়ে তুলতেন। আমাদের সৌভাগ্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া স্বপ্ন পূরণে হাল ধরেছেন তিনি, এই দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করবেন।