জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন জাতীয় শিশু দিবস বৃহস্পতিবার। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। কালক্রমে তার হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধুর ৯৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। এর আগে সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি প্রাঙ্গণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা এবং গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে টুঙ্গিপাড়া যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে শুক্রবার বিকালে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ।
জন্মদিনে বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণ করে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, “বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের জন্য আজ এদেশের মানুষের কাছে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক ও অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। সামগ্রিক বিচারে বঙ্গবন্ধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি এক অনন্য সাধারণ ইতিহাস। তিনি নিজ গুণে ও কর্মে সমাজ, দেশ ও সমকালীন বিশ্বে চির ভাস্বর হয়ে আছেন। তিনি কেবল বাঙালির নন, বিশ্বে নিপীড়িত-শোষিত মানুষের স্বাধীনতার প্রতীক, মুক্তির দূত।”
পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বঙ্গবন্ধু এক কিংবদন্তির নাম। বাল্যকাল থেকেই তিনি ছিলেন নির্ভীক, অমিত সাহসী এবং মানব দরদি। তিনি ছিলেন বাংলার আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার অধিকার আদায়ের শেষ আশ্রয়স্থল।”
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের প্রচলিত আদালতে বিচার ও রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি কিছুটা হলেও দায়মুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত অবশিষ্ট পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে শিক্ষকরা ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠান হবে। বিকালে একই জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল পৌনে ৮টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বটতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি এবং সকাল ৯টায় বহির্বিভাগে বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবার উদ্বোধন করা হবে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো আলোচনা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে নানা কর্মসূচি
আপনার মতামত দিন