হাদিস নং ২৩২০: আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে কোন মুসলমান ফলবান গাছ রোপণ করে কিংবা কোন ফসল ফলায় আর তা হতে পাখী কিংবা মানুষ বা চতুষ্পদ জন্তু খায় তবে তা তার পক্ষ হতে সদাকাহ্ বলে গণ্য হবে।
মুসলিম (রহ.) ….. আনাস (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। (৬০১২, মুসলিম ২২/২, হাঃ ১৫৫৩, আহমাদ ১২৪৯৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১৬৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ২৩২১: আবূ উমামাহ্ বাহিলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, লাঙ্গলের ফাল এবং কিছু কৃষি সরঞ্জাম দেখে বললেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি এটা যে সম্প্রদায়ের ঘরে প্রবেশ করে, আল্লাহ সেখানে অপমান প্রবেশ করান। রাবী মুহাম্মাদ [ইবনু যিয়াদ (রহ.)] বলেন, আবূ উমামাহ্ (রাঃ)-এর নাম হল সুদাই ইবনু আজলান। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১৭০)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ২৩২২: আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি শস্য ক্ষেতের পাহারা কিংবা পশুর হিফাযতের উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশে কুকুর পোষে, প্রতিদিন তার নেক আমল হতে এক কীরাত পরিমাণ কমতে থাকবে। ইবনু সীরীন ও আবূ সালিহ্ (রহ.) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেনঃ বকরী অথবা ক্ষেতের হিফাযত কিংবা শিকারের উদ্দেশ্য ছাড়া।
আবূ হাযিম (রহ.) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, শিকার ও পশুর হিফাযত করার কুকুর। (৩৩২৪, মুসলিম ২২/১০, হাঃ ১৫৭৫, আহমাদ ৯৪৯৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১৭১)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ২৩২৪: আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক ব্যক্তি একটি গরুর উপর সাওয়ার ছিল, তখন গরুটি সে ব্যক্তির দিকে লক্ষ্য করে বলল, আমাকে এ কাজের জন্য সৃষ্টি করা হয়নি। আমাকে চাষাবাদ তথা ক্ষেতের কাজের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি, আবূ বাকর ও ‘উমার (রাঃ) এটা বিশ্বাস করি। তিনি আরো বললেন, এক নেকড়ে বাঘ একটি বকরী ধরেছিল, রাখাল তাকে ধাওয়া করল। নেকড়ে বাঘটা তাকে বলল, সেদিন হিংস্র জন্তুর প্রাধান্য হবে, যেদিন আমি ছাড়া কেউ তার রাখাল থাকবে না, সেদিন কে তাকে রক্ষা করবে? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি, আবূ বাকর ও ‘উমার (রাঃ) এটা বিশ্বাস করি। আবূ সালামাহ্ (রাঃ) বলেন, তারা দু’জন [আবূ বাকর ও উমার (রাঃ)] সেদিন মজলিসে হাযির ছিলেন না। (৩৪৭১, ৩৬৬৩, ৩৬৯০, মুসলিম ৪৪/১, হাঃ ২৩৮৮, আহমাদ ৭৩৫৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১৭৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
২৩২৫. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনসাররা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বললেন, আমাদের এবং আমাদের ভাই (মুহাজির)-দের মধ্যে খেজুরের বাগান ভাগ করে দিন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না। তখন তাঁরা (মুহাজিরগণকে) বললেন, আপনারা আমাদের বাগানে কাজ করুন, আমরা আপনাদেরকে ফলে অংশীদার করব। তাঁরা বললেন, আমরা শুনলাম এবং মানলাম। (২৭১৯, ৩৭৮২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১৭৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী
অধ্যায়ঃ চাষাবাদ
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন