হাদিস নং ৫/৩৮১৮: আবদুল্লাহ ইবনে বুসর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার আমলনামায় অধিক পরিমাণে ‘‘ক্ষমা প্রার্থনা’’ যোগ করতে পেরেছে, তার জন্য সুসংবাদ, আনন্দ।
হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ২৩৬, আত-তালীকুর রাগীব ২/২৬৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ১/৩৮২১: আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, যে ব্যক্তি একটি নেক আমল করলো, তার জন্য রয়েছে তার দশ গুণ। আমি অবশ্য বাড়াতেও পারি। যে ব্যক্তি কোন পাপ কাজ করলো, তার পাপের শাস্তি হবে তার সম-পরিমাণ অথবা আমি তা ক্ষমাও করতে পারি। যে ব্যক্তি আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই। আর যে ব্যক্তি এক হাত আমার দিকে অগ্রগামী হয়, আমি এক বাহু তার দিকে অগ্রগামী হই। যে ব্যক্তি আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তার দিকে দৌঁড়ে যাই। কোন ব্যক্তি আমার সাথে কোন কিছু শরীক না করা অবস্থায় পৃথিবীপূর্ণ গুনাহ নিয়ে আমার সাথে মিলিত হলেও আমি অনুরূপ পরিমাণ ক্ষমাসহ তার সাথে মিলিত হবো।
মুসলিম ২৬৮৭, আহমাদ ২০৮০৮, ২০৮৫৩, ২০৮৬৬, ২০৯৬১, ২০৯৭৭, ২১০৫৫, দারেমী ২৭৮৮, রাওদুন নাদীর ৯৫৫, সহীহাহ ৫৮১, ২২৮৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ২/৩৮২২: আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি আমার সম্পর্কে আমার বান্দার ধারণা মোতাবেক আচরণ করি। সে যখন আমাকে স্মরণ করে, তখন আমি তার সাথেই থাকি। সে যদি মনে মনে আমাকে স্মরণ করে, তবে আমিও তাকে মনে মনে স্মরণ করি। সে যদি কোন মজলিসে আমাকে স্মরণ করে, তবে আমি তাদের চেয়ে উত্তম মজলিসে তার আলোচনা করি। সে যদি আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয় তবে আমি তার দিকে দৌঁড়ে অগ্রসর হই।
সহীহুল বুখারী ৭৪০৫, মুসলিম ২৬৭৫, তিরমিযী ৩৬০৩, আহমাদ ৭৩৭৪, ২৭৪০৯, ৮৪৩৬, ৯০০১, ৯০৮৭, ৯৩৩৪, ২৭২৭৯, ২৭২৮৩, ১০১২০ ১০২৪১, ১০৪০৩, ১০৫২৬, সহীহাহ ২২৮৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ৩/৩৮২৩: আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আদম-সন্তানের প্রতিটি কাজের সওয়াব দশ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বর্দ্ধিত হয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তবে রোযা ব্যতীত। কেননা তা শুধু আমার জন্য এবং আমিই তার পুরস্কার দিবো।
সহীহুল বুখারী ১৮৯৪, ১৯০৪, ৫৯২৭, ৭৪৯২, ৭৫৩৮, মুসলিম ১১৫১, তিরমিযী ৭৬৪, নাসায়ী ২২১৫, ২২১৬, ২২১৭, ২২১৮, ২২১৯, আহমাদ ৭৪৪২, ৭৬৩৬, ২৭৩৪৫, ২৭২৪৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ১/৩৮২৪: আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ‘‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’’ বলতে শুনে বললেনঃ হে আবদুল্লাহ ইবনে কায়েস! আমি কি তোমাকে এমন এক বাক্যের সন্ধান দিবো না, যা জান্নাতের ভান্ডারসমূহের অন্তর্ভুক্ত? আমি বললাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বলেনঃ তুমি বলো, ‘‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’’।
সহীহুল বুখারী ৪২০৫, মুসলিম ২৭০৪, তিরমিযী ৩৩৭৪, ২৪৬১, আবূ দাউদ ১৫২৬, আহমাদ ১৯০২৬, ১৯১০২, ১৯১৫১, ১৯২৪৬, ১৯২৫৬, রাওদুন নাদীর ১০৪১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ২/৩৮২৫: আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ আমি কি তোমাকে জান্নাতের গুপ্তধনসমূহের একটির সন্ধান দিবো না? আমি বললাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ। তিনি বলেনঃ ‘‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’’।
আহমাদ ২০৮২৯, ২০৮৪২, ২০৮৭৯, রাওদুন নাদীর ১০৪১, আত-তালীকুর রাগীব ২/২৫৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ৩/৩৮২৬: হাযিম ইবনে হারমালা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি আমাকে বলেনঃ হে হাযিম! তুমি অধিক সংখ্যায় ‘‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’’ বাক্যটি পড়ো। কেননা তা হলো জান্নাতের গুপ্তধন।
হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ২৩১৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াকুব বিন হুমায়দ বিন কাসিব সম্পর্কে আবু জা’ফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭০৮৬, ৩২/৩১৮ নং পৃষ্ঠা) ২. আবু যায়নাব সম্পর্কে ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭৩৭৯, ৩৩/৩৩৬ নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু ইয়াকুব বিন হুমায়দ ও আবু যায়নাব এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৩৫৬ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, ৩৭ টি খুবই দুর্বল, ১৬৯ টি দুর্বল, ১২৩ টি হাসান, ২৭ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ৪২০৪, ৬৩৮৪, ৬৪০৯, ৭৩৮৬, মুসলিম ৫৮৯, ২৭০৫, ২৭০৬, তিরমিযি ৩৩৭৪, ৩৪৬১, ৩৫৮১, ৩৬০১, আহমাদ ৭৯০৬, ৮০২৪, ৮২০১, ৮২২১, ৮৪৪৬, ৮৫৩৫, মু’জামুল আওসাত ১৯৪৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস