হাদিস নং ৪৫২৬: আহমদ ইবন হাম্বল (রহঃ) ……. মুআবিয়া ইবন আবূ সুফিয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে বলেনঃ জেনে রাখ! তোমাদের আগের আহলে-কিতাব (ইয়াহূদ ও নাসারাগণ বাহাত্তর ফিরকায় বিভক্ত হয়েছে, আর এ মিল্লাতের লোকগণ অদূর ভবিষ্যতে তিয়াত্তর ফিরকায় বিভক্ত হবে। এক ফিরকা হবে জান্নাতী; আর তারা ঐ জামাআতভূক্ত, যারা আল্লাহ্র কিতাব এবং তাঁর রাসূলের সুন্নাতের অনুসারী হবে।রাবী ইবন ইয়াহ্ইয়া এবং আমর (রহঃ) তাদের হাদীছে এরূপ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, আমার উম্মতের মধ্যে অদূর ভবিষ্যতে এমন একদল লোক সৃষ্টি হবে, যাদের মাঝে গুমরাহী এভাবে বিস্তার লাভ করবে, যেমন ক্ষিপ্ত কুকুরের কাঁমড়ানোর ফলে সৃষ্ট রোগ (যা রোগীকে পাগল বানিয়ে দেয়)।রাবী আমার (রহঃ) বলেনঃ ক্ষিপ্ত কুকুরের দংশন জনিত রোগ এমন একটা মারাত্নক ব্যাধি যার বিষাক্ত প্রভাব থেকে রোগীর দেহের রগ ও জোড় কিছুই রক্ষা পায় না।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
হাদিস নং ৪৫২৭: কা’নাবী (রহঃ) ………. আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াত পাঠ করেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা আপনার উপর এমন কিতাব নাযিল করেছেন, যার কিছু আয়াত ‘মুহকাম’ বা স্পষ্ট, যা কিতাবের মূল এবং কিছু আয়াত ‘মুতাশাবিহ’ বা দ্ব্যর্থবোধক …… আর জ্ঞানী ব্যক্তিরাই নসীহত কবূল করে থাকে। রাবী আইশা (রাঃ) বলেনঃ এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যখন তোমরা লোকদের ‘মুতাশাবিহ’, আয়াতের অনুসরণ করতে দেখবে ; তখন জানবে যে, এরা তারা যাদের নাম আল্লাহ্ বর্ণনা করেছেন। কাজেই তোমরা এদের থেকে দূরে থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ৪৫২৯: ইবন সারহ (রহঃ) …….. আবদুল্লাহ্ ইবন কাআব ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি কাআব (রাঃ)-কে চলাফেরা করাতেন, যখন তিনি অন্ধ হয়ে যান। তিনি বলেনঃ আমি কাআব ইবন মালিক (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, রাবী ইবন সারহ (রাঃ) ও তাবূকের যুদ্ধের সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কাআবের পেছনে থেকে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেছেন, তিনি (কাআব) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের তিন জনের সাথে সমস্ত মুসলমানদের কথা বলতে মানা করে দেন। এভাবে অনেক দিন অতিবাহিত হওয়ার পর, আমি আমার চাচাতো ভাই ইবন কাতাদা (রহঃ)-এর বাগানের প্রাচীর টপকিয়ে প্রবেশ করে, তাকে সালাম দেই। কিন্তু আল্লাহ্র শপথ! তিনি আমার সালামের জবাব দেননি। এরপর তিনি তার তাওবা কবূল হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ৪৫৩২: আহমদ ইবন হাম্বল (রহঃ) …….. আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরআনের মধ্যে নিজের মত ব্যক্ত করে ঝগড়ার সৃষ্টি করা কুফর।
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
হাদিস নং ৪৫৩৩: আবদুল ওয়াহাব (রহঃ) ……….. মিকদাম ইবন মা’দীকরাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জেনে রাখ! আমাকে কুরয়ান প্রদান করা হয়েছে এবং এর সাথে অনুরূপ (হাদীছ) দেয়া হয়েছ। অদূর ভবিষ্যতে একজন অভাবহীন তৃপ্ত ব্যক্তি তার খাটের উপর অবস্থান করে বলবেঃ তোমরা এ কুরআনকে গ্রহণ কর এবং এতে যা হালাল বলা হয়েছে, তা হালাল হিসাবে গ্রহণ কর; আর যা হারাম বলা হয়েছে তা হারাম হিসাবে গ্রহণ কর। জেনে রাখ! গৃহ-পালিত গাধার গোশত তোমাদের জন্য হালাল নয়, কোন হিংস্র জন্তুর গোশত ও হালাল নয়, কোন যিম্মীর পরিত্যক্ত মাল হালাল নয়, তবে যদি তার মালিক তা থেকে বে-পরওয়া হয়, সে আলাদা ব্যাপার। আর যদি কেউ মেহমান হিসারে কোন কাওমের কাছে যায়, তবে তাদের উচিত তার মেহমানদারী করা। তারা যদি সে ব্যক্তি মেহমানদারী না করে, তবে তাদের নিকট থেকে মেহমানের হক গ্রহণ করার অধিকার তার থাকবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থঃ সূনান আবু দাউদ
অধ্যায়ঃ সুন্নাহ
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন