হাদিস নং ১৯২১: যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে সাহরী খাই এরপর তিনি সালাতের জন্য দাঁড়ান। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, আযান ও সাহরীর মাঝে কতটুকু ব্যবধান ছিল? তিনি বললেন, পঞ্চাশ আয়াত (পাঠ করা) পরিমাণ। (৫৭৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭৯৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ১৯২২: ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটানা সওম পালন করতে থাকলে লোকেরাও একটানা সওম পালন করতে শুরু করে। এ কাজ তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়াল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিষেধ করলেন। তারা বলল, আপনি যে এক নাগাড়ে সওম পালন করছেন? তিনি বললেনঃ আমি তো তোমাদের মত নই। আমাকে খাওয়ানো হয় ও পান করানো হয়। (১৯৬২, মুসলিম ১৩/১১, হাঃ ১১০২, আহমাদ ৬১৩৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ১৭৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ১৭৯৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ১৯২৩: আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সাহরী খাও, কেননা সাহরীতে বরকত রয়েছে। (মুসলিম ১৩/৯, হাঃ ১০৯৫, আহমাদ ১১৯৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ১৭৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ১৯২৪: সালমা ইবনু আকওয়া‘ (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ‘আশূরার দিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে এ বলে লোকদের মধ্যে ঘোষণা দেয়ার জন্য পাঠালেন যে, যে ব্যক্তি খেয়ে ফেলেছে সে যেন পূর্ণ করে নেয় অথবা বলেছেন, সে যেন সওম আদায় করে নেয় আর যে এখনো খায়নি সে যেন আর না খায়। (২০০৭, ৭২৬৫, মুসলিম ১৩/২১, হাঃ ১১৩৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭৯৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ১৯২৫-১৯২৬: আবূ বাকর ইবনু ‘আবদুর রাহমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এবং আমার পিতা ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) এবং উম্মু সালামাহ (রাযি.)-এর নিকট গেলাম। (অপর বর্ণনায়) আবুল ইয়ামান (রহ.)…মারওয়ান (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) এবং উম্মু সালামাহ (রাযি.) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, নিজ স্ত্রীর সাথে মিলনজনিত জুনূবী অবস্থায় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ফজরের সময় হয়ে যেত। তখন তিনি গোসল করতেন এবং সওম পালন করতেন। মারওয়ান (রহ.) ‘আবদুর রাহমান ইবনু হারিস (রহ.)-কে বললেন, আল্লাহর শপথ করে বলছি, এ হাদীস শুনিয়ে তুমি আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-কে শঙ্কিত করে দিবে। এ সময় মারওয়ান (রহ.) মাদ্বীনার গভর্নর ছিলেন। আবূ বাকর (রহ.) বলেন, মারওয়ান এর কথা ‘আবদুর রাহমান (রহ.) পছন্দ করেননি। রাবী বলেন, এরপর ভাগ্যক্রমে আমরা যুল-হুলাইফাতে একত্রিত হই। সেখানে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর একখন্ড জমি ছিল। ‘আবদুর রাহমান (রহ.) আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)-কে বললেন, আমি আপনার নিকট একটি কথা বলতে চাই, মারওয়ান যদি এ বিষয়টি আমাকে কসম দিয়ে না বলতেন, তা হলে আমি তা আপনার সঙ্গে আলোচনা করতাম না। অতঃপর তিনি ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) ও উম্মু সালামাহ (রাযি.)-এর বর্ণিত উক্তিটি উল্লেখ করলেন। ফায্ল ইবনু ‘আববাস (রাঃ) অনুরূপ একটি হাদীস আমাকে শুনিয়েছেন এবং এ বিষয়ে তিনি সর্বাধিক অবগত। হাম্মাম (রহ.) এবং ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার সূত্রে আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, এরূপ ক্ষেত্রে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওম পরিত্যাগ করে খাওয়ার হুকুম দিতেন। প্রথমোক্ত হাদীসটি সনদের দিক হতে বিশুদ্ধ। (১৯২৫-১৯৩০, ১৯৩১) (১৯২৬-১৯৩২, মুসলিম ১৩/১৩, হাঃ ১১০৯, আহমাদ ২৬৬৯২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ১৮০০ )
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী
অধ্যায়ঃ সাওম বা রোযা
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন