হাদিস নং ৩৯৬৯: জাবির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াত (এভাবে) পড়েছেনঃ ‘‘তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থান বানিয়ে নাও।’’ (সূরা আল-বাকারাহঃ ১২৫)।
মুসলিম, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ৩৯৭০: আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা রাতে এক লোক উচ্চস্বরে কুরআন তিলাওয়াত করলো। সকালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ অমুক ব্যক্তির উপর রাহমাত বর্ষণ করুন। সে রাতে আমাকে এমন কিছু আয়াত স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যা আমি প্রায় ভুলতে বসেছিলাম।
বুখারী, মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ৩৯৭১: ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘‘আর নবীর জন্য শোভনীয় নয় যে, তিনি খিয়ানাত করবেন।’’ এই আয়াত বদরের যুদ্ধের সময় অবতীর্ণ হয়েছে, বদরের যুদ্ধের সময় একটা লাল চাঁদর হারিয়ে গেলে কতিপয় লোক বলাবলি করলো, সম্ভবত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা নিয়েছেন। তখন আল্লাহ এ আয়াত অবতীর্ণ করলেনঃ ‘‘আর নবীর জন্য শোভনীয় নয় যে, তিনি খিয়ানাত করবেন। অথচ যে ব্যক্তি খিয়ানাত করবে সে খিয়ানাতকৃত বস্তুসহ কিয়ামাতের দিন উপস্থিত হবে। অতঃপর প্রত্যেকেই তার কৃতকর্মের পূর্ণ বিনিময় পাবে এবং তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র যুলুম করা হবে না।’’ (সূরা আল-ইমরানঃ ১৬১)। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘ইয়াগুলু’ শব্দের ইয়া-তে যবর হবে।
তিরমিযী। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এই হা্দিসটি হাসান গরীব।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ৩৯৭২: আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট কৃপণতা ও বার্ধক্য থেকে আশ্রয় চাইছি।
বুখারী, মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ৩৯৭৩: লাক্বীত ইবনু সাবিরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বনী মুনতাফিকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়েছিলাম। অতঃপর তিনি হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সীন হরফে যের পড়েছেন, সীনে যবর দিয়ে পড়েননি।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
হাদিস নং ৩৯৭৪: ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক অভিযানে মুসলিমগণ এক লোকের সাক্ষাৎ পেলো, যার কিছু বকরী ছিলো। লোকটি বললো, আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। (অথচ) তারা তাকে হত্যা করে বকরীগুলো নিয়ে নিলো। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ ‘‘কেউ তোমাদের সালাম দিলে দুনিয়াবী সম্পদের লোভে তাকে বলো না যে, তুমি মু‘মিন নও’’ (সূরা আন-নিসাঃ ৯৪) অর্থাৎ সেই বকরীগুলো।
বুখারী, মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ
অধ্যায়ঃ কুরআনের কিরআত ও পাঠের নিয়ম
পাবলিশারঃ আল্লামা আলবানী একাডেমী