গত ১২ জানুয়ারী ২০২১তারিখে নিউজ৩৯ এ প্রকাশিত “দোহারে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতা গেল কোথায়, লোপাটের অভিযোগ” সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দোহার উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দা পারভিন। প্রতিবাদ লিপিতে তিনি বলেন,
“নতুন নিয়োগকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতা লোপাট শিরোনামে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে দায়ি করে একটি নিউজ ছাপা হয়েছে। আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসার, দোহার, ঢাকা এবং প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের পক্ষ থেকে এই ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমুলক সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারের সকল ধরনের বরাদ্দ সরাসরি IBAS++ থেকে আসে। আমি DDO হিসাবে শিক্ষকদের ব্যাংক একাউন্টের বরাবর বিল করে হিসাব রক্ষণ অফিসে দাখিল করে থাকি। হিসাব রক্ষণ অফিস বিল পাশ করে ব্যাংকে যার যার একাউন্টে পাঠিয়ে দেয়। এই টাকা লোপাট করার কোন ধরনের সুযোগ নেই। গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বরাদ্দ আসে ১৮/০৭/২০১৯ তারিখে। নতুন শিক্ষকগন যোগদান শুরু করে ২০২০ সালের মার্চের ১৮ তারিখ থেকে। এই নতুন শিক্ষকদের সহ ২৩/০৪/২০২০ তারিখে বৈশাখী ভাতার বিল করে হিসাব রক্ষণ অফিসে দাখিল করা হয়। কিন্তু বরাদ্দ কম থাকায় শুধুমাত্র পুরাতন শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতা পাশ হয়। নতুন শিক্ষকদের বাজেট চাওয়া হলেও ৩০ জুন/২০২০ পর্যন্ত বরাদ্দ না আসায় বৈশাখী ভাতা দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেট ১২/০৭/২০২০ তারিখে আসে। এই বিল হিসাব রক্ষণ অফিসে দাখিল করা হয়েছে। এই অর্থ আত্মসাৎ করার কোন সুযোগ নেই। সরকারের উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য সফল উন্নয়ন হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের আওতায় সকল সরকারি বরাদ্দ IBAS++ এ আসে। সেখান থেকেই ব্যাংকের হিসাব রক্ষণ অফিসের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা হয়। বর্তমান সরকারের এই যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারনে প্রাথমিক শিক্ষার আমুল পরিবর্তন এসেছে। দোহার উপজেলায় এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আমার নিষ্ঠা, সততা ও সম্মানকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উদ্দেশ্য মুলকভাবে আপনার পত্রিকায় এই ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করা হয়। যা সরকারের সফল কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমার অফিস এবং আমার প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। আমার এই প্রতিবাদ আপনার পত্রিকায় ছাপানোর সবিনয় অনুরোধ করছি।”
প্রতিবেদকের বক্তব্যঃ উপরোক্ত সংবাদের প্রতিবেদক জানান, উক্ত নিউজের জন্য সাক্ষাৎকার, মোবাইল ফোনে রেকর্ডিং এবং ভুক্তভোগী প্রাথমিক শিক্ষকদের সাথে সরাসরি ও মোবাইল ফোনের রেকর্ডিং সংরক্ষিত আছে। এবং এখন পর্যন্ত তারা তাদের বৈশাখী ভাতা পান নি। তাই নিউজের সত্য নিষ্ঠতা নিয়ে কোন প্রশ্নের অবকাশ নেই।