পৌরবাসীদের মমতায় আগলে রাখতে চান শাহবুদ্দিন আহমেদ

328

নিউজ৩৯ :: স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয় মোড়কে হলেও এই নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী বেশিরভাগ প্রার্থীই কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত থাকেন। আসন্ন দোহার পৌরসভা নির্বাচনের অনেক প্রার্থীই কোন না কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহবুদ্দিন আহমেদ প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অংশগ্রহন করছেন দোহার পৌরসভা মেয়র পদে।

বিগত এক এগার সরকারের সময় পরম মমতায় আগলে রেখেছিলেন তিনি দোহার উপজেলা বিএনপিকে। তখন অনেক নেতা কর্মীই ছিলেন দেশের বাইরে। আবার অনেকেই ছিলেন ঢাকায়। শোনা যায় কোন কোন নেতা এসময় পর্যটক হিসাবে ঘুরে বেরিয়েছেন দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। কেউবা রাত কাটিয়েছেন শাহ জালালের মাজারে। নাজমুল হুদার ঘনিষ্টজন হিসাবে পরিচিত, যারা নিজেকে নাজমুল হুদার ডান হাত, বাম হাত বলে পরিচয় দিতেন তারা যেন আলাদিনের দৈত্যের মত হয়ে গেলেন অদৃশ্য। কিন্তু একসময় বিমান বাহিনীর এই সৈনিক ছুটে বেরিয়েছেন কেন্দ্রীয় অফিসে। সংস্কার পন্থীদের চাপে ভেঙ্গে যাওয়া বিএনপি পূর্নগঠনে থেকেছেন তৎকালীন দলীয় মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ারের পাশে।

ঢাকা জেলা বিএনপিতে শাহবুদ্দিন আহমেদ অনুগত ব্যক্তির বলে পরিচিত। যিনি ব্যক্তিকে নয়, দলকে ভালবাসেন। ভালবাসেন শহীদ জিয়ার আর্দশের বিএনপিকে। বিগত ২০০১ সালে জয়পাড়া কলেজের উল্টোপাশে তার নিজস্ব দোকানে তিনি করেছিলেন দোহার থানা বিএনপির কার্যালয়। কিন্তু নির্বাচনের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে সেই কার্যালয়টি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল তৎকালীন সরকার সমর্থিত কিছু নেতা কর্মী। এরপর থেকে আজ অবধি নেই দোহার থানা বিএনপির  নিজস্ব কোন কার্যালয়।

অন্য খবর  ছাত্রলীগের ঢাকা-১ এর নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠিত

দোহার উপজেলা বিএনপি যে স্পষ্ট দুই ধারায় বিভক্ত শাহবুদ্দিন আহমেদের নির্বাচনে অংশ নেয়াতে বিভক্তিটা আরো প্রকট হয়েছে। ঢাকা জেলা বিএনপি সভাপতি মান্নানপন্থী লোক হিসাবে পরিচিত এই নেতা বেশ ভাল ভাবেই আছেন নির্বাচনি রেসে। দল থেকে একক ভাবে কাউকে মনোনায়ন না দেওয়ায় তিনি অংশ নিচ্ছেন এই নির্বাচনে। আর এতে বিপাকে পড়েছেন বিএনপিপন্থী অপর প্রার্থীরা।

ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নানের ঘনিষ্ঠ এই নেতা কেন পৌরবাসী তাকে ভোট দিবে এই প্রশ্নের জবাবে নিউজ৩৯কে তিনি বলেন, আমি খুবই সাধারন। ধনী-গরিব যে কেউই যেকোন সময় আসতে পারে আমার বাড়িতে। পৌরপিতা নির্বাচিত হলে পৌরবাসীর জন্য সবার আগে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করবেন। তিনি আরো বলেন, উ্ন্নয়ন করবেন ড্রেনেজ ব্যবস্থার। সেই সাথে বিনোদনের জন্য একটি শিশু পার্ক নির্মান করার ঘোষনাও দিয়েছেন। সেই সাথে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত দোহার পৌরসভা গড়ার।

এছাড়া তিনি বলেন, আমি জয়পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করেছি। জয়পাড়া বাজারের ৪ তলা বিল্ডিং স্থাপনেও সহযোগীতা করেছি। বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবদান রেখেছি। ছিলাম বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গর্ভানিং বডির সদস্য।

অন্য খবর  শিকারীপাড়া টিকেএম উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত 

আপনার মতামত দিন