পদ্মার ভয়াল আগ্রাসী থাবায় গ্রামের পর গ্রাম বিলীন হয়ে যখন দোহারের অস্তিত্ব যখন সংকটের মুখে সেই তখন থেকে দোহারবাসীর দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল আজকের এই বাহ্রা বাঁধ। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্য থেকে দোহারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। আগামী তিন দিন পদ্মা নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সারা দেশের ন্যায় দোহার নবাবগঞ্জে বড় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে দোহার-নবাবগঞ্জের অধিবাসীরা। কেননা তীব্র হুমকির মুখে পড়েছে বাহ্রা ও মেঘুলা বাঁধ। আর আশংকা তীব্র হয়েছে বাহ্রার পার্শ্ববর্তী ধোয়াইর বাজার প্লাবিত হওয়ায়। এদিকে মালিকান্দা মেঘুলা স্কুলে পানি ঢূকে পড়েছে। তাই তীব্র ঝুকিতে রয়েছে নির্মাণাধীন পদ্মা রক্ষা বাঁধ। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে এই জনপদের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ।
প্রাথমিকভাবে বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চলছে। সরেজমিনে দেখা যায় বাধের প্রায় পাঁচটি পয়েন্টে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে দুটি পয়েন্টে বাধের উপর দিয়ে পানি অপর পাশে ঢুকতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় আতঙ্ক বিরাজ করছে নদীপারের বাসিন্দারের মাঝে।
নয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ হান্নান নিউজ৩৯কে বলেন, আমরা উদ্যোগে নিয়ে এলাকাবাসীসহ তাৎক্ষণিকভাবে বালুর বস্তা ফেলে তা প্রতিরোধের চেষ্টা করছি। বাঁধ রক্ষা করতে প্রাথমিক কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরপরও ঝুঁকিমুক্ত হচ্ছে না। বাতাসে নদীর পানি ঢেউ খেলছে। আর প্রবল বেগে ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। এজন্য ঢেউয়ের কারণে এসব বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
তাই নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।কিন্তু ঢেউয়ের তোড়ে বাঁধের ভেতরে থাকা বাড়িঘর ভাঙনের মুখে পড়েছে। এতে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাউকে বাধের কাছে দেখা যায়নি।