ঢাকা জেলার সবচে’ ছোট উপজেলা দোহার, ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে এর গঠন। আর এর দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বাংলাদেশের অন্যতম বড় নদী পদ্মা। নয়াবাড়ী, কুসুমহাটি, বিলাসপুর, নারিশা সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়েনর রয়েছে পদ্মার সাথে যোগ। প্রমত্তা পদ্মা এই ইউনিয়নগুলোর আকার আয়তন নিয়ন্ত্রণ করে ইচ্ছে মতো।ইতোমধ্যে পদ্মার করাল গ্রাসে নয়াবাড়ী ইউনিয়নের অরঙ্গবাদ, পানকুন্ডু, পশ্চিম ধোয়াইর ও বাহ্রার কিছু অংশ বিলিন হয়ে গেছে পদ্মার বুকে।
অরঙ্গবাদ থেকে পানকুন্ডু পর্যন্ত চর পড়ায় ওই এলাকার মানুষ পদ্মার ভাঙ্গনের ভয় কাটিয়ে উঠলেও, পানি বাড়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছে পানকুন্ডু, পশ্চিম ধোয়াইর ও বাহ্রা গ্রামের অধিকাংশ মানুষ। ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় শত বছরের পুরোনো ভিটে-মাটি হারানোর ভয়ে চোখে ঘুম নেই অনেকের। বিকেল হলেই বয়বৃদ্ধদের বিমর্ষ মুখে পদ্মার পাড়ে বসে থাকতে দেখা যায়।
পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণ করতে করতে কাঁদতেও দেখা যায় কাউকে কাউকে, হাত তুলে প্রার্থনা করেন যেন এই পৈত্রিক মাটিতেই শায়িত হবার সুযোগ পান।কুসুমহাটি ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামের অনেক অংশই এখন পদ্মার বুকে। যেটুকো বাকি আছে সেটুকো রয়েছে আশংকাজনক আবস্থায়। ইতোমধ্যে চলে এসেছে বর্ষা ঋতু, এবং পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে ভাঙ্গনের মাত্রাও বেড়ে গেছে। পানির তোড়ে আলগা হয়ে যাচ্ছে মাটি। ফলে যখন তখনই নদী গর্ভে ভেঙ্গে পড়ছে জমি।
ছবি: বাহ্রাঘাটে নদীর পাড় ভাঙ্গছে
(চলবে)