মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের পদ্মার চরে নিয়ে এক গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণ করেছে স্পিডবোট চালক ও তার সহকারী । রোববার স্বামীকে ডাক্তার দেখিয়ে বরিশাল থেকে ঢাকায় ফেরার পথে স্পিডবোটে পদ্মা নদী পার হওয়ার সময় স্পিডবোট চালক তাকে চরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) প্রানবন্ধু চন্দ্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশসূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাত আনুমানিক ১০টায় ভিকটিম তার স্বামীর বাড়ি বরিশালের কাউনিয়া উপজেলার পলাশপুর গ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
ফেরিতে করে লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে আসার জন্য রাত ১২টা নাগাদ তিনি কাঠালবাড়ি ঘাটে এসে পৌঁছান।
ফেরিটি দেরি করায় ওই গার্মেন্টসকর্মীসহ আরো কয়েকজন কাঠালবাড়ি ফেরি ঘাট থেকে একটি স্পিডবোটে উঠে পদ্মা পাড়ি দেয়। স্পিডবোটটি শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছলে অন্য যাত্রীরা তাদের নির্ধারিত ভাড়া দিয়ে নেমে যান।
পাচঁশ টাকা নোটের ভাংতি না থাকায় মেয়েটিকে দেরি করায় স্পিডবোট চালকসহ আরো একজন যুবক।
লোকজন দূরে চলে গেলে স্পিডবোট চালক সেটিকে ঘুরিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে পদ্মার চরে যায়। সেখানে তাকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে চর থাপ্পড় মেরে চরে নামিয়ে ধর্ষণ করে তারা।
এক ঘণ্টা পর রাত আড়াইটায় মেয়েটিকে শিমুলিয়া ঘাটে নামিয়ে দিয়ে ধর্ষক দু’জন স্পিডবোটটিকে ঘাটে রেখে পালিয়ে যায়।
মেয়েটিকে অসুস্থ অবস্থায় এক রিকশাচালক লৌহজং থানায় নিয়ে আসে।
মেয়েটির বর্ণনা অনুযায়ী লৌহজং থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাদা রঙ্গের স্পিডবোটটিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ ধর্ষক দু’জনের পরিচয়ও উদ্ধার করেছে। একজন স্পিডবোট চালক লৌহজংয়ের কুমাভোগ ইউনিয়নের ওয়ারী গ্রামের মজিদ কম্পানীর ছেলে রাজিব কম্পানী অপরজন উপজেলার মেদিনীমন্ডল ইউনিয়নের চন্দ্রের বাড়ি গ্রামের আব্দুল মালেক শিকদারের ছেলে মিঠু শিকদার।
পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এই বিষয়ে মেয়েটি নিজে বাদি হয়ে সোমবার লৌহজং থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মুন্সিগঞ্জে পাঠিয়েছেন।