নির্মাণের মাত্র ৩ দিনের মধ্যেই ধসে পড়েছে দোহার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের জয়পাড়া কিছুক্ষণ হল রোডের বিভিন্ন অংশ। রাস্তাটি ধসে পড়ার খবর পেয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে জয়পাড়া কিছুক্ষণ হল রোডের অটোস্যান্ড এবং এর আশে পাশের বেশ কিছু অংশ বৃষ্টির পানিতে ধসে পড়েছে। সম্প্রতি দোহার পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তাঘাট উন্নয়নের অংশ হিসেবে নির্মান করে ড্রেনসহ রাস্তা। তারই ধারাবাহিকতায় এ রাস্তাটিতেও ড্রেন সংযুক্ত করা হয়। পরে রাস্তা নির্মান করা হলেও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাটি মাথায় না রাখায় ড্রেনের ম্যানহোল থেকে রাস্তা নিচু করে তৈরি করা হয়।
রাস্তার তুলনায় ড্রেনের ম্যানহোল উঁচু হওয়ায় তা দিয়ে বৃষ্টির পানি সরতে না পেরে ম্যানহোলের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে যার ফলে এ ধসের সৃষ্টি। এখন চলছে কালবৈশাখী মৌসুম। ফলে বৃষ্টি পাতের তোড় বছরের যে কোন সময়ের চেয়ে একটু বেশি বিধায় গত দুই দিনের সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি ধসে পড়ে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, এ বিষয়টি তারা বারবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে জানালেও কোন সংস্কারমুলক ব্যবস্থা না নিয়ে জনগনকে উপজেলায় গিয়ে অভিযোগ করতে বলেন।
এ ব্যাপারে দোহার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলমাস উদ্দিন নিউজ থার্টিনাইনকে বলেন, রাস্তাটি ধসে পড়ার কারন খুঁজে বের করে সে ব্যাপারে অতি দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কথা বলা হয় মঙ্গল এবং হেলাল নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মীর সাথে। সাংবাদিক পরিচয় জানতে পেরে তারা প্রতিষ্ঠানের নাম না বলে উভয়েই ফোন কেটে সুইচ অফ করে রাখেন। পরে বার বার চেষ্টা করা হলেও তাদেরকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে দোহার পৌরসভার মেয়র আব্দুর রহীম মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি নিউজ থার্টিনাইনকে বলেন, “স্থানীয় জনগণের যদি রাস্তা নিয়ে কোন অভিযোগ থাকে তবে জনগণকে রাস্তা ঠিক করে নিতে বলেন।” এ কথা বলেই তিনি ফোন কেটে দেন।
মেয়রের এমন মন্তব্যে পৌরসভার বাসীন্দাদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। দোহার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান আকন্দ নিউজ থার্টিনাইনকে বলেন, মেয়রের এ ধরনের বক্তব্য খুবই দু:খজনক। আশা করছি অতি দ্রুতই পৌর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।