নামাজের ইমামতির শর্ত ও যোগ্যতা: ইসলামের দৃষ্টিকোণ

13
নামাজের ইমামতির শর্ত ও যোগ্যতা: ইসলামের দৃষ্টিকোণ

নামাজের ইমামতি শুদ্ধ হওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করা আবশ্যক। প্রাথমিক শর্তের মধ্যে রয়েছে পুরুষ হওয়া, মুসলমান হওয়া ও বালেগ হওয়া। (সুনানে কুবরা লিল-বায়হাকি: ৬০৬৯) এ ছাড়া মানসিকভাবে সুস্থ হওয়াও আবশ্যক।

দ্বিতীয় ধাপের শর্তের মধ্যে রয়েছে নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য যতটুকু কোরআন তিলাওয়াত করা ফরজ, ততটুকু মুখস্থ ও শুদ্ধভাবে পড়তে পারা। সুতরাং মুখস্থ না থাকলে এবং শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াত করতে না পারলে ইমামতি করা যাবে না। (তিরমিজি: ১৯১)

একইভাবে নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার যে শর্তগুলো আছে, তা থেকে কোনো একটি শর্ত পাওয়া না গেলেও ইমামতি শুদ্ধ হবে না। নামাজ সহিহ হওয়ার শর্তগুলোর মধ্যে আছে পবিত্রতা, সতর ঢাকা ইত্যাদি। কারণ যার নামাজই হবে না, তার ইমামতির প্রশ্নই আসে না। এ ছাড়া যাবতীয় অপারগতামুক্ত হওয়াও ইমামতির গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। যেমন নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া, প্রস্রাব ঝরা, সর্বক্ষণ বায়ু নির্গত হওয়া ইত্যাদি। (বাদায়ে: ২/৫৪)

নামাজের ইমামতির জন্য সবচেয়ে বেশি যোগ্য রাষ্ট্রপ্রধান বা তাঁর নায়েব। (তিরমিজি: ২১৮) মদিনায় মহানবী (সা.) নিজেই নামাজের ইমামতি করতেন। তবে কোনো মসজিদে নিয়মিত ইমাম থাকলে, তিনিই সেই মসজিদে ইমামতি করবেন। ঘরে জামাত অনুষ্ঠিত হলে ঘরের কর্তাই ইমামতির হকদার। (আবু দাউদ: ৫০৪)

অন্য খবর  রিজভীকে দেখতে হাসপাতালে আশফাক

উপস্থিত লোকদের মধ্যে যদি বাদশাহ, নায়েব বা নিয়মিত ইমাম না থাকেন এবং একাধিক ইমামতির যোগ্য ব্যক্তি থাকেন, তাহলে নামাজ সম্পর্কে যিনি বেশি জ্ঞান রাখেন, তিনিই বেশি হকদার। এরপর যাঁর বেশি কোরআন মুখস্থ আছে, তিনি। এরপর যিনি বেশি মুত্তাকি, তিনি। এরপর যিনি বেশি বয়স্ক, তিনি। সবাই এসব যোগ্যতার অধিকারী হলে তাঁদের থেকে যাঁকে নির্বাচন করা হবে, তিনিই ইমামতি করবেন। (বুখারি: ৬৩৭)

আপনার মতামত দিন