সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যমুনা সেতুর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা ঘুষের মামলার তদন্তের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য। তিনি জানান, সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সকাল সোয়া ১০টা থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। নাজমুল হুদাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তার ধানমন্ডির বাসার ঠিকানায় তলবি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
২০০৮ সালের ১৮ জুন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট সিগমা হুদার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় যমুনা বহুমুখী সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মর্গানেট ওয়ান লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকের কাছ থেকে ২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ১৯টি চেকের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা ঘুষ নেন। এ ঘটনায় রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ঘুষ গ্রহণ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, যমুনা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মর্গানেট ওয়ান লিমিটেডকে নিযুক্ত করা হয়।
যোগাযোগমন্ত্রী থাকার সময় নাজমুল হুদা ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা তার স্ত্রীর মালিকানায় পরিচালিত ‘খবরের অন্তরালে’ পত্রিকার হিসাবে জমা দেওয়ার জন্য বলেন। টাকা দেওয়া না হলে ওই প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি নিয়োগ বাতিল করে কালো তালিকাভুক্ত করার হুমকি দেওয়া হয়। নিরুপায় হয়ে ব্যাপক ব্যবসায়িক ক্ষতি বিবেচনা করে মাসিক ২৫ হাজার টাকা উৎকোচ প্রদানের প্রস্তাব করলে নাজমুদ হুদা দম্পতি তাতে রাজি হন। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মর্গানেট ওয়ান লিমিটেডের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকের কাছ থেকে ২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ১৯টি চেকের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা ঘুষ নেন।