ঢাকার নবাবগঞ্জ পাড়াগ্রাম আঞ্চলিক সড়কে উন্নয়নের নামে জনভোগান্তি এখন চরম আকার নিয়েছে। সড়টির উন্নয়ন কাজে সমন্বয় না থাকায় পথচারীদের দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছে না। চলছে সড়কটিতে ব্যাপক খোঁড়াখুঁড়ি। একটু বৃষ্টিতেই সড়কে পানি জমে থাকছে। ফলে পথচারীদের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, যন্ত্রাইল থেকে চন্দ্রখোলা পর্যন্ত সড়টির বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখা হয়েছে সড়ক উন্নয়ন নির্মাণ সামগ্রী। কিছু স্থানে ইট, পিচ, পাথর ও গাড়ি রাখা আছে। এর ফলে যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহন চলাচলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সড়কটির বিভিন্ন অংশে গর্ত তৈরির কারণে প্রতিদিন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও নছিমন, করিমন পরিবহন দুর্ঘটনায় পড়ছে।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নবাবগঞ্জ পাড়াগ্রাম আঞ্চলিক সড়কে উন্নয়নে নিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স ডলি কনস্টাকশন ও মেসার্স জেনেভা ইন্টারন্যাশনাল। নবাবগঞ্জ থেকে সিংজোর ১০ কিলোমিটার কাজ করবে ডলি কনস্ট্রাকশন। যার সংস্কার ব্যায় ৭ কোটি ৬২ লাখ ৫৯হাজার টাকা।
অপদিকে সিংজোর থেকে পাড়াগ্রাম বাজার পযন্ত ৬ কিলোমিটার জেনেভা ইন্টারন্যাশনাল লি.। যাদের উন্নয় ব্যায় ৬ কোটি ৪৬ টাকা ৫১ পয়সা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মেসার্স ডলি কনস্ট্রাকশন লি. এর দায়িত্বে চলমান নবাবগঞ্জ থেকে সিংজোর পর্যন্ত সড়টির উন্নয়ন কাজ চলছে ধীরগতিতে। ফলে ভোগান্তি যেন বেড়েই চলেছে।
উপজেলার শোল্লা গ্রামের কলেজছাত্রী অনিতা রানী সরকার বলেন, সড়কে গর্ত তৈরি হওয়ায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। কলেজে পৌঁছাতে সময়ের ঠিক থাকে না। কাজ কেন ফেলে রেখেছে ঠিকাদার আমরা বুঝি না।
পাতিলঝাপ এলাকার ডিম ব্যবসায়ী হারুন মিয়া বলেন, কিছু স্থানে রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে। যাতায়াতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। কার কাছে বলবো এই সমস্যার কথা। এতে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে না।
ধীরগতিতে সড়ক উন্নয়ন বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স ডলি কনস্ট্রাকশন লি. এর মালিক নাসির উদ্দিনকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সংযোগ কেটে দেন। বার বার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেনি।
সড়টির উন্নয়নে ধীরগতির বিষয়ে উপজেলা স্থানীয় সরকার দপ্তরের প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আমরা কাজ দ্রুত শেষ করতে চাপ দিয়ে যাচ্ছি। আশাকরি দ্রুত সড়কটির উন্নয় কাজ শেষ হবে।