ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম মুস্তফা জালালকে অপসারিত করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনে অযাচিত লোক নিয়ে প্রবেশ, সরকারি কর্মকর্তাদের লাঞ্জিত করণ ও সরকারি সম্পদ ধ্বংসের অজুহাতে তাকে অপ্সারণ করা হয়েছে ।
নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদে গত ২৯ নভেম্বর, ২০১৫ তারিখে অনুষ্ঠিত ১৯ তম সভার শুরুতে উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক নিয়োগ অনুমোদনের বিরোধীতা করে সভায় উচ্চবাচ্চ করে সভা স্থগিতকরণ, বহিরাগত সন্ত্রাসীগণ নিয়ে পরিষদের সভাকক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ, নারী কর্মকর্তাসহ কয়েকজন সরকারী কর্মকর্তার গায়ে হাত তুলে লাঞ্ছিত করা, দরজা-জানালায় লাথি মেরে আতংক সৃষ্টি সহ সরকারী কাজে বিঘ্নিত করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
উপরোক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ ও ১৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। মরিয়ম মুস্তফা যথাক্রমে ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ও ২৮ মার্চ ২০১৬ তারিখে এর জবাব দাখিল করেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে মরিয়ম মুস্তফার জবাব কর্তৃপক্ষের কাছে সন্তোষজনক নয় বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
গত ১১ মে ২০১৬ তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে মরিয়ম মুস্তফাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিউজ৩৯ এর পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ফোন রিসিভ করে কোন প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেননি।
নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক নিউজ৩৯ কে বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর। মন্ত্রাণালয় তদন্তে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় অপসারিত হয়েছেন। তিনি যতটুকু জেনেছেন তাতে , তার জবাবে মন্ত্রাণালয় সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তবে সংবাদটি শুনে তিনি মর্মাহত। তিনি চান, মরিয়ম জালাল আবার উপজেলা পরিষদে ফেরত আসুন। এ ব্যাপারে তার কোন সহযোগীতা লাগলে তিনি বিধি মোতাবেক সাহায্য করবেন।