ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বালুরচর এলাকায় সেতুর এপ্রোচ সড়ক দখল করে ইট রেখে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০০১ সালে বালুরচর ও টুকনীকান্দা খালের ওপর সেতুটি নিমাণ করা হয়। সে সময়ে এলাকাবাসী সেতুর এপ্রোচসহ সড়কের জন্য জমি ছেড়ে দেয়। সেই অনুযায়ী আমিন দ্বারা পরিমাপ করে খুঁটি পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। সেইভাবে প্রতিবেশী পরিবার হাফিজ সিকদারেরও জমি ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি জমি না ছেড়ে সেতুর এপ্রোচসহ রাস্তার জমি নিজের দখলে নেন। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশে বসলেও দখলকারী সড়ক ছাড়ছেন না। সম্প্রতি হাফিজ সিকদারের পরিবার রাস্তায় ইট রেখে দখলে নিয়েছে। উঠিয়ে ফেলা হয়েছে সীমানা খুঁটি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মনিরুজ্জামান ওরফে মনির মাস্টার অভিযোগ করেন, হাফিজ সিকদার তার ছেড়ে দেওয়া রাস্তার জমিও দখল করেছে। এতে আশপাশের পরিবারগুলোর চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। কিছু বলতে গেলে নানা রকমের হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে হাফিজ সিকদারের স্ত্রী বলেন, আমার শ্বশুরসহ স্থানীয় কয়েকজন মুরব্বি মিলে সেতুর স্থান নির্ধারণ করেছিলেন। সড়কের জমি তাদের ক্রয় করা। রাস্তায় দিলে তার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
স্থানীয় বক্সনগর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ মিয়া বলেন, সেতু তৈরির সময় সড়ক করা হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজ সিকদার ও জব্বার সিকদার সড়ক আটকে দিয়েছে বলে শুনেছি। এতে ওই এলাকার জনসাধারণসহ স্কুলগামী শিশুরা ভোগান্তিতে পড়েছে। নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে খোঁজ নেওয়া হবে। পরে ভূমি প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।