নবাবগঞ্জ উপজেলায় বিথী আক্তার মুক্তা (২৫) নামে এক গৃহবধূকে তার স্বামী সাইফুল আলম পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মুক্তা উপজেলার রাধাকান্ত গ্রামের সাইফুল আলমের স্ত্রী। ঘটনার পর স্বামী পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ১১টার দিকে বিথী আক্তার মুক্তা নামে এক গৃহবধূকে তিন/চারজন ব্যক্তি মৃত অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। এরপর তারা দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়। সংবাদ পেয়ে নিহত মুক্তার ভাই তরিকুল ও স্বজনরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে মুক্তার মরদেহ দেখে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত মুক্তার ভাই তরিকুল নিউজ৩৯কে জানান, সকাল ১০টার দিকে বোন জামাই সাইফুল আলম তাকে মোবাইল ফোনে জানান, আপনার বোন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর তিনি লাইন বিছিন্ন করে দেন। সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে মরদেহ দেখতে পাই।
তিনি আরো জানান, ছয় বছর আগে উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের মো. জলিলের ছেলে সাইফুল আলমের সঙ্গে মুক্তাকে বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক সামান্য বিষয় নিয়েই তিনি মুক্তাকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করতেন। তরিকুল ও তার পরিবারের অভিযোগ মুক্তাকে পরিকল্পিতভাবে সাইফুলই হত্যা করেছে।
নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই), মো.বাছির উদ্দিন নিউজ৩৯কে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।