ঢাকার নবাবগঞ্জে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগে আলকাম ওরফে কামরুল নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। অপহরণের দুই মাস পর বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে কামরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকেও উদ্ধার করেন নবাবগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরা।
গত শুক্রবার দুপুরে নবাবগঞ্জ থানায় দোহার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো.আশরাফুল আলম সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। আলকাম নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা ইউনিয়নের ছাতিয়া এলাকার বাসিন্দা। সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম বলেন, আসামি আলকাম ওরফে কামরুল নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে সর্ম্পক গড়েন এবং বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ওই ছাত্রীর বয়স (১৮) কম হওয়ায় পরিবার থেকে পরে বিয়ের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে গত ৩১ মার্চ দুপুরে গালিমপুর বাজার এলাকা থেকে মেয়েটিকে অপহরণ করে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে যান কামরুল। কিছুদিন পর ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ে নিয়ে যান। এ সময় মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন তিনি। ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মেয়েটির পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন কামরুল। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ জালাল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আমিরুল ইসলামসসহ পুলিশের একটি দল আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার মিরপুরের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে কামরুলকে আটক করে। এ সময় তাঁর ব্যবহার করা পুলিশের পোশাক, একটি মুঠোফোন এবং পুলিশের বুট, বেল্ট ও কাউন্টার টেররিজম লোগোযুক্ত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। আটকের পর আলকাম পুলিশের কাছে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় আলকামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।