নিউজ৩৯: নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পানিকাওর গ্রামের অটো চালক মহানন্দ মন্ডল গতকাল রাতে বিষাক্ত সাপের কামড়ে মারা যায়। আত্মীয় স্বজনের বরাতে জানা যায়, তাকে কোন ওঝার কাছে নেয়া হয়নি। রোগীকে সরাসরি নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সহকারী সার্জন ডা: নাফিস আনোয়ার এবং তার সহকারী হিসেবে ছিলেন এসএসিএমও ডা: এটিএম সিদ্দিকুর রহমান। কিন্তু তারা সাপে কাটা রোগীকে কোন প্রকার চিকিৎসা সেবা না দিয়ে দ্রুত মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠান। সেখানও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ঢাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় মহানন্দ মন্ডল। দীর্ঘ সময় চিকিৎসাসেবা না পেয়ে, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। নবাবগঞ্জ সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের এন্টিভেনম থাকার পরেও চিকিৎসা না দিয়ে রোগীকে ঢাকা পাঠানোয় বিষয়টি স্থানীয় জনসাধারণের নিকট ব্যাপক ক্ষোভের এবং সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিয়ে আলোচনা এবং সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে।
জনসাধারণের প্রশ্ন, ভ্যাকসিন থাকার পরও যদি চিকিৎসা সেবা না পাওয়া যায় এবং রোগীর মৃত্যু ঘটে, তাহলে ভ্যাকসিনের বিজ্ঞাপন দিয়ে লাভ কি?
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নবাবগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: শহিদুল ইসলাম সহকারী সার্জন ডা: নাফিস আনোয়ার এবং তার সহকারী হিসেবে ছিলেন এসএসিএমও ডা: এটিএম সিদ্দিকুর রহমানকে কারণ দর্শানো নোটিশের মাধ্যমে কৈফিয়ত তলব করেছেন এবং যথাযথ জবাব দিতে ৩ কার্য দিবসের মধ্যে উত্তর দিতে বলেছেন।
বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।