নবাবগঞ্জে সাদাপুর সেতুর জরাজীর্ণ অবস্থা

233
নবাবগঞ্জ

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে বান্দুরা সাদাপুর মধ্যপাড়া আঞ্চলিক সড়কে অবস্থিত সেতুটির জরাজীর্ণ অবস্থা দীর্ঘ দিন। নির্বাচনের সময় স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা ভোট চাইতে আসলেও সেতুটি সংস্কারে তাদের কোন উদ্যোগ নেই বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

তাদের দাবি, উপজেলা সদরের নিকটবর্তী ঢাকা বান্দুরা সড়কের পাশে সাদাপুর মধ্যপাড়া আঞ্চলিক সড়কে অবস্থিত এই সেতু দিয়ে বর্তমানে কোন পরিবহন চলাচল করতে পারে না। বর্তমান সেতু সংলগ্ন সড়টিরও বেহাল অবস্থা। সড়কের পাশে খাল থাকায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটির বিভিন্ন অংশের মাটি ভেঙ্গে খালে চলে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত সড়কটি ছোট হয়ে আসছে। ফলে এলাকাবাসী জরুরি প্রয়োজনে কোন পরিবহন নিয়ে যাতায়াত ও শিক্ষার্থীরা সময় মতো বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে পারছে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি, সাদাপুর মধ্যপাড়া আঞ্চলিক সড়কে অবস্থিত সেতুটির ভিত্তি প্রস্তরের শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এবং বাস্তবায়নে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিডি) নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ডিসিকে এন্টার প্রাইজ। এলাকাবাসীর অভিযোগ অতি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যাবহার করায় সেতুটি বর্তমানে বেহাল দশা।

অন্য খবর  ঢাকা-১ আসন পুনরুদ্ধার করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে চাই; নিউজ৩৯ এর সাক্ষাৎকারে আবু আশফাক

বান্দুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসুল হক বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে নবাবগঞ্জ ও দোহারে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হলেও বান্দুরা ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ ব্রীজ ও সড়ক গুলো বেহাল অবস্থা চলছে বহু বছর। স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় বর্তমানে এ অবস্থা বিরাজ করছে।

উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহিদ হায়দার উজ্জল বলেন, সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদ জনক। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা সেতুটি দিয়ে সাদাপুর প্রগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তে আসে। এলাকাবাসীর সাথে তিনি সংহতি জানিয়ে বলেন, দ্রুত সেতুটি সংস্কার করা হোক।

নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিডি) এর প্রকৌশলী আনোয়ার রহমান বলেন, সেতুটির বিষয় খোঁজ নিয়ে দেখা হবে ও দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানানো হবে।

আপনার মতামত দিন