নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৪০টির মতো বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ রয়েছে। কিন্তু একটিও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা কলেজ নেই। ১০০ ও ৫০ বছরের পুরোনো দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও সেগুলো সরকারীকরণ হয়নি।
সরকারের ঘোষিত নীতি অনুযায়ী, যেসব উপজেলায় কোনো সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ নেই, সেখানে একটি করে বিদ্যালয় ও কলেজ সরকারি করা হবে।
গত ১৩ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৭৯টি বিদ্যালয় সরকারি করার জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরে তালিকা পাঠিয়েছে। কিন্তু এতে নবাবগঞ্জের কোনো প্রতিষ্ঠান স্থান না পাওয়ায় হতাশ এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
এদিকে দু’দফায় যথাক্রমে ১৯৯টি ও ৬৪টি কলেজ সরকারি করণের অনুমতি পেলেও এখনো নবাবগঞ্জে কোন কলেজের নাম এই তালিকায় আসেনি। এতে হতাশা বিরাজ করছে নবাবগঞ্জ বাসীর মধ্যে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমদ বলেন, উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩২। পাঁচটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও তিনটি স্বতন্ত্র কলেজ আছে। স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলোর তিনটি এমপিওভুক্ত (বেতন বাবদ সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত)। দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজ এবং নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়—এই দুটি প্রতিষ্ঠানকে সরকারীকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠানই যেকোনো পর্যায়ে সরকারি হবে বলে তিনি আশা করছেন।
এলাকাবাসী বলছেন, নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়টি ১০৯ বছরের পুরোনো। আর দোহার-নবাবগঞ্জ কলেজটি ৫০ বছর পার করেছে। প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষার মানও ভালো। এ দুটি প্রতিষ্ঠান সরকারি হলে এলাকার ছাত্রছাত্রীদের অনেক সুবিধা হতো। এখন অনেক বেতনে তাদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়তে হচ্ছে।
নবাবগঞ্জ পাইলট স্কুলে প্রায় ২০০০ হাজার শিক্ষার্থী এবং ১৯৬৫ সালে প্রায় সাত একর জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত দোহার-নবাবগঞ্জ কলেযে বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিক, ডিগ্রি ও স্নাতক মিলিয়ে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। কিন্তু তবুও তালিকায় নাম না আসায় সকলের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।